তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ‘সেবাশ্রয়’ প্রকল্পের স্বাস্থ্য শিবিরগুলিতে ব্যাপক সাড়া মিলছে। পরিষেবা নিতে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার প্রতিটি স্বাস্থ্যশিবিরে রোগীদের ভালোই ভিড় হচ্ছে। আর রোগীরা চিকিৎসাও পাচ্ছেন।জটিল রোগের ক্ষেত্রেও চিকিৎসা পাচ্ছেন রোগীরা। আর এবার জটিল স্নায়ু রোগে আক্রান্ত দুই শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরু পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: সেবাশ্রয় প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন অভিষেক, স্বাস্থ্যশিবির হবে ডায়মন্ড হারবার জুড়ে
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই শিশুর উন্নত চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেসে পাঠানো হয়েছে। দুই শিশুর নাম হল আলমিশা খাতুন এবং নেহা মাঝি। জানা গিয়েছে, আলমিশা খাতুন জন্মগত শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন। তার ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছচ্ছে না। যারফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে তার। আর নেহা মাঝি স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফির সমস্যায় ভুগছে। তাদের সঙ্গে ছিলেন ডাঃ সুরজ হালদার। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আলমিশা খাতুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালির বাসিন্দা। তার পরিবার তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিল সাতগাছিয়া সেবাশ্রয় ক্যাম্পে। আর নেহা মাঝি হুগলির বাসিন্দা। সেও পরিবারের সঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের এসডিও গ্রাউন্ড ক্যাম্পে গিয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ঠিক করেন তাদের আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন, যা এরাজ্যে সম্ভব নয়।এদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেহা মাঝির জন্য একটি সেবাশ্রয় শিবিরে ফিজিওথেরাপিরও ব্যবস্থা করেছিলেন। তবে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের দুজনকে বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেসে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
জানা গিয়েছে, শনিবার তারা বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। দুই শিশুর পরিবারের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে রয়েছেন চিকিৎসক সুরজ হালদার এবং একজন সেবাশ্রয়ের স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা সেখানে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থায় সাহায্য করবেন বলে জানা গিয়েছে। দুই শিশুর জন্য আগে থেকেই সেখানে একজন চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে নেহার মা বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসার জন্য সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কথামতোই তিনি কাজ করেছেন। এর জন্য তাঁকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।’