২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগের ছবিটা পুরোপুরি পালটে গিয়েছে এখবছরের মধ্যেই। ফুলবদলের ঢেউ এখন আছড়ে পড়ছে বিপরীত পাড়ে। তবে এর মাঝেই আদি-নব্য দ্বন্দ্ব শুরুর আশঙ্কা দেখছে তৃণমূল। বহু জায়গায় অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখাও দিয়েছে তৃণমূলের। এর জেরে অনেক হিংসা, খুন খারাপিও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক গতকাল শ্যামনগরের সভা থেকে সাফ জানিয়ে দিলেন, পুরোনো কোনও কর্মীর গায়ে যাতে আঁচড় না পড়ে।
এর আগে শুভেন্দু থেকে শুরু করে অনেক নেতাই তৃণমূল ছাড়ার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। অভিযোগ ‘পুরোনো’দের সম্মান দেন না অভিষেক। এদিকে সম্প্রতি পুরভোটের সময়ও তৃণমূলের অন্দরে ‘প্রবীন বনাম নবীন’ ঝড় উঠেছিল। সেই দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতেও ছিলেন অভিষেক। এবার সেই অভিষেকই তৃণমূলে আসা নতুন সদস্যদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিলেন, যাতে কোনও পুরোনো দলীয় কর্মীর গায়ে আঁচ না পড়ে।
অর্জুন সিংয়ের সংবর্ধনা সভায় অভিষেক গতকাল বলেন, ‘পুরনো কর্মীদের গায়ে আঁচড় পড়লে ছেড়ে কথা বলব না। কর্মীরাই দলের সব থেকে বড় সম্পদ। বিজেপির কাছে অর্থ, এজেন্সি আছে, কিন্তু তৃণমূলের কর্মীদের যে আবেগ তা নেই। আপনাদের আবেগ বুঝি। তবু বলব, যদি কেউ তৃণমূল কংগ্রেসে ঢোকে তবে তাকে নিজের আদর্শ বদলে আসতে হবে।’ পাশাপাশি শ্যামনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে দলবদল নিয়ে তৃণমূলের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিলেন অভিষেক।
এদিন তিনি ভরা সভায় দাঁড়িয়ে ফের মিরজাফর, গদ্দারদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। এরপরই অভিষেক সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কী চান? দরজা বন্ধ করে রাখব? অভিষেক বলেন, দরজা বন্ধ করেই রাখব। দরজা খুলে দিলে দলটাই উঠে যাবে। খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ছোট দলে আসার জন্য। সবাই ছোট দলে আসতে চাইছেন কারণ দলে শেষ কথা বলে মানুষ।মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে শীত, গ্রীষ্ম বর্ষা, মমতা ব্যানার্জি ভরসা।