দোরগড়ায় বিধানসভা নির্বাচন। তাই এখন দলকে সংঘবদ্ধ করে শক্তিশালী সংগঠন নিয়ে লড়াইয়ে নামতে হবে। কারণ বিপক্ষে বিজেপি। সেখানে দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন একদমই উচিত নয় বলে মত রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের এই ভাইরাস করোনা সংক্রমণের মতোই এখন উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ঘরে ঘরে। তার ফলে ‘বেসুরে’ বাজছেন অনেক নেতারাই। কেউ কেউ চলে গিয়েছেন বিজেপি শিবিরে।
সূত্রের খবর, কয়েক দিনের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীউত্তরবঙ্গে প্রচারে আসবেন। তখন ভাঙন আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঠিক তার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে এসে বৈঠক করে গেলেন শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের নেতাদের সঙ্গে। বেসুরো ছাড়াও ‘উপসর্গহীন’ কারা রয়েছেন দলে, তাও খোঁজার চেষ্টা করলেন। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোই ছিল তাঁর সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
তাহলে উপায়? জানা গিয়েছে, এই জট কাটাতে অভিষেকের দাওয়াই, যুযুধান নেতাদের মুখোমুখি বসিয়ে দেওয়া। তাঁদের প্রতি অভিষেকের বার্তা হল— এবারেও তৃণমূলের সরকার গঠনের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। তাই যত দ্রুত সম্ভব দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দলের কাজে নামুন। তাতে জয় ত্বরান্বিত হবে। দলীয় বৈঠক করার পরে একদিন আলিপুরদুয়ার, একদিন জলপাইগুড়ি গিয়ে বৈঠক করেছেন। গত সাত তারিখ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে জনসভা করেন তিনি। শুক্রবার কলকাতা ফিরে যান।
দলীয় সূত্রে খবর, বুধবার চালসার বৈঠকে ময়নাগুড়ি দুই ব্লকের ব্লক সভাপতি শিবশংকর দত্ত এবং প্রাক্তন সভাপতি শশাঙ্ক রায় বাসুনিয়া ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। আলিপুরদুয়ারের কালচিনির বিধায়ক মোহন শর্মা অভিষেকের সামনেই ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেন জেলার কো–অর্ডিনেটর পাসাং লামাকে। অভিষেক ‘বেসুরো’ মোহন বসুর (টানা ১৭ বছর তিনি জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান) মতো কাউকে কাউকে নিজের ফোন নম্বরও দিয়ে গিয়েছেন।
প্রশ্ন উঠছে, এইভাবে কি সব দ্বন্দ্ব মিটবে? মোহন বসু জানিয়ে গিয়েছেন, তিনি শুধু মমতার কথাই শুনবেন, জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর ডাকে সাড়া দেবেন না। আলিপুরদুয়ারের এক তৃণমূল বিধায়কের কথায়, ‘এই উদ্যোগ আরও আগে নিলে ভালো হতো। তবে দেরি হয়ে গিয়েছে। বছরখানেক আগে শুরু হলে ফল বেশি ভালো মিলত।’ এই বৈঠকের নাম দেওয়া হয়েছে—‘মুখোমুখি যুযুধান’।
ুযুধান’।