কর্মীদের আবেগ সবার আগে। তাঁদের মনে দুঃখ দিতে কাউকে দলে ফেরানো হবে না। শনিবার খড়দহের জনসভা থেকে এই কথাই স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, আগামী ৫ মাসের মধ্যে তৃণমূল আরও পাঁচ রাজ্যে নিজেদের সাংগঠনিক প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার করবে।
এদিন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে খড়দহে সভা করতে এসেছিলেন অভিষেক। সেই সভায় দাঁড়িয়ে অভিষেক জানান, ‘আমি দলনেত্রীর পায়ে ধরে অনুরোধ করেছি, দলের কর্মীদের আবেগ সবার আগে। তাঁদের মনে দুঃখ দিয়ে কাউবে দলে ফেরাবেন। বিজেপির গদ্দারদের দলে ঢুকতে দেব না। কয়েকজনকে আমরা দলে ফিরিয়েছি। কিন্তু প্রায়শ্চিত্ত করিয়েই আমরা দলে ফিরিয়েছি। তাই বলে সবাইকে দলে ফেরাব না। আগেকার তৃণমূলের সঙ্গে এথনকার তৃণমূলের অনেক পার্থক্য রয়েছে। সেটা বুঝতে পারছেন তো।’ উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপি থেকে ৬ জন বিধায়ক ও ২ জন সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। এখন অনেক নেতা–নেত্রীরাই রয়েছেন যারা তৃণমূলে আসার জন্য আগ্রহী বলে ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে খবর।
খড়দহে প্রচারে গিয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করা ও জয়লাভ করা কাজল সিনহার প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে ভোলেননি অভিষেক। তিনি জানান, মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে নিজের জয়টাই দেখতে পেলেন না কাজল সিনহারা। বাংলায় এক দফায় নির্বাচন হলে এই দুর্গতি হত না। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের সাংগঠনিক প্রভাব যে আরও বাড়ছে, সেকথাও এদিন স্পষ্ট করে দেন অভিষেক। তিনি জানান, 'আগামী তিন মাসে পাঁচ রাজ্যে সংগঠন গড়বে তৃণমূল। এক বছরের মধ্যে ১২ থেকে ১৫টি রাজ্যে আমাদের ওয়ার্কিং কমিটি থাকবে। যেখানে বিজেপির হাতে মানুষ উপেক্ষিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে কেড়ে নিয়েছে, সেখানে ভোটে লড়বে তৃণমূল। তিনি জানান, বিজেপিকে হারাতে পারে একমাত্র তৃণমূলই। গোটা দেশ এখন বলছে, দেশ কা নেত্রী ক্যায়সা হো? মমতা বন্দ্যোপাধ্যা জ্যায়সা হো।' একইসঙ্গে কংগ্রেসকে নিশানা করে অভিষেক জানান, কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না।