আবার সংবাদের শিরোনামে আসতে চলেছে নন্দীগ্রাম। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও নন্দীগ্রাম ছিল চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। এখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই হয়েছিল। ফলাফলের সময় লোডশেডিং হয়েছিল। একবার জয়ী ঘোষণা করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। লোডশেডিংয়ের পর ১৯৫৭ ভোটে জিতেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার সেখানে হাজির হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং এখান থেকে বড় কোনও ঘোষণা করেন কিনা অভিষেক সেদিকে তাকিয়ে সবাই।
ঠিক কী করবেন অভিষেক? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, আজ মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রা পৌঁছবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এখানে মোট চার দিন থাকার কথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের। এখানে মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। তারপর বিরোধী দলনেতার কাজকর্ম প্রকাশ্যে নিয়ে আসবেন। তবে এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ শিশির এবং দিব্যেন্দু থাকবেন না বলেই সূত্রের খবর। এখানে অভিষেকের একাবিধ কর্মসূচি রয়েছে। তার মধ্যে নন্দীগ্রাম থাকছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
কেমন কর্মসূচি থাকছে অভিষেকের? আজ মঙ্গলবার তাঁর কর্মসূচির প্রথম শুরু হবে পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। তারপর বুধবার অভিষেক জনসংযোগ যাত্রা করবেন পটাশপুরে। দু’দিন পর বৃহস্পতিবার তাঁর গন্তব্য হবে রামনগর। আর এখানে শুক্রবার নন্দকুমারে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে রামনগরের কর্মসূচি সেরে তিনি যাবেন চণ্ডীপুরে। তারপর পায়ে হেঁটে মিছিল করে যাবেন নন্দীগ্রামে। শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্রে রাতে থাকবেন অভিষেক। তাই ক্যামেরার ফোকাস পয়েন্ট—নন্দীগ্রাম।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? অভিষেকের নন্দীগ্রাম আসা নিয়ে এখন কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘চার দিন ধরে আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত থাকব। ১ জুন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম যাবেন। তিনি সেখানে রাতে থাকবেন। এই বিষয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাঁদের নির্দেশ মতোই আমরা কাজ করছি।’ তবে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে অভিষেকের কর্মসূচির উপর নজর থাকবে সবপক্ষের বলে মনে করা হচ্ছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup