তাঁরা অনেক আশা নিয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। ভোটে সাহায্য করেছিলেন বিজেপিকে। কিন্তু নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে বিজেপি নেতাদের আর দেখা মেলেনি। তাই বাধ্য হয়েই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। এমনকী একদিনে জোড়া দলবদল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। রবিবার বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন শতাধিক নেতা–কর্মী। এদিন যোগদান করেছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী এবং বিজেপি নেতাও। এই ভাঙনের জেরে সংগঠন দুর্বল হল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের।
এদিন কালনায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান করা হয়। সেখানেই শতাধিক বিজেপি কর্মী, সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কালনা ২ নম্বর ব্লকের সিঙ্গেরকোনে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে যোগদান পর্ব চলে। সেখানে বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র তথা জেলা পরিষদের সহ–সভাধিপতি দেবু টুডু।
এই বিষয়ে দেবু টুডুর বক্তব্য, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে বিজেপি থেকে অনেকেই আবেদন করেছিলেন। আজ শতাধিক বিজেপি কর্মী, সমর্থকের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেওয়া হল। একসময়ের বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী ছন্দা কর্মকার, বিজেপি নেতা কৌশিক দাশগুপ্তরাও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন।’
আর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েই বিজেপি মহিলা মোর্চানেত্রী ছন্দা কর্মকার বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক, মিথ্যে নিয়ে থাকা বিজেপি দলে ভাল মানুষের জায়গা নেই। শান্ত বাংলাকে প্রতিনিয়ত অশান্ত করতে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন তাঁরা। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়ন যজ্ঞে নিজেকে সামিল করলাম।’ পাল্টা কালনার বিজেপি নেতা সুশান্ত পাণ্ডে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের এসবই দেখনদারি। এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে বিজেপির কর্মী–সমর্থককে দলে টানার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।’