দুর্গাপুরের পরিবহণ ব্যবসায়ী তথা কলেজ ছাত্র অবিনাশ ঝা খুনের ঘটনায় নয়া তথ্য পেল পুলিশ। তাঁকে পরিকল্পনা করে খুন করেছিল ধৃত যুবক বিট্টু সিংহ এবং তরুণী আফরিন খাতুন। তারা এই পরিকল্পনা করেছিল ক্রাইম সিরিজ দেখে। তাদের জেরা করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃতরা জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত।
গত সপ্তাহের বুধবার রাতে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরের দিন সকালে গোপালমাঠের কাছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অবিনাশ বেনাচিতির নতুনপল্লী এলাকার এ ব্লকের বাসিন্দা। তিনি বিধাননগরের বিসিএ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবার মৃত্যুর পর তিনি মায়ের সঙ্গে থাকছিলেন। সেই সূত্রে তিনি পারিবারিক পরিবহণ ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। গত বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ তিনি পরিবহণ সংস্থার কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে ভিড়িঙ্গিতে যাওয়ার জন্য বের হন। এরপর সন্ধ্যা নাগাদ তাঁর মায়ের সঙ্গে শেষবার তাঁর কথা হয়। পরের দিন হাত, পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এরপরে পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিট্টু এবং আফরিনকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, আফরিনের সঙ্গে প্রথমে প্রেম ছিল অবিনাশের। পরে বিট্টুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় আফরিনের। কিন্তু তারপরেও আফরিনের সঙ্গে অবিনাশের সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন হয়নি। অভিযোগ বিট্টু এবং আফরিন দুজনেই অভিনাশকে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য চাপ দিয়েছিল। কিন্তু, অবিনাশ তা শুনতে চাইনি।
পুলিশ জানিয়েছে, এর আগেও এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ রয়েছে বিট্টুর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জামিন পেয়ে যায়। তদন্তকারীদের বক্তব্য, অবিনাশকে সরিয়ে ফেলার জন্য টেলিভিশনে বেশ কিছু ক্রাইম সিরিজ ও ধারাবাহিক দেখে বিট্টু। তারপরে বুধবার রাতে অবিনাশকে বিট্টুর বাড়িতে নিয়ে যায় আফরিন। সেখানে চলে মদের আসর। সেখানেই বিয়ারের বোতল এবং শাবল দিয়ে অবিনাশকে খুন করে আফরিন ও বিট্টু। এর পরে তাঁর হাত-পা বেঁধে দেহ ফেলে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, অবিনাশের মোবাইল ফোন এবং বাইকটি উদ্ধার হয়েছে। বিট্টুর বাড়িতে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে ধৃতরা জেরায় শিকার করেছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup