বিশেষ কাজে মোতায়েন করা পুলিশবাহিনীকে অবিলম্বে তাদের আগের ইউনিটে ফেরাতে হবে। সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেই নির্দেশিকায় এইসব পুলিশ কর্মীদের নিজস্ব ইউনিটে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ মহলের শীর্ষ কর্তারা সম্প্রতি লক্ষ্য করেছেন, এই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের বর্তমানে এমন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে যা অপ্রয়োজনীয়। তারপরেই এমন নির্দেশ।
আরও পড়ুন: মমতা পুলিশকে সতর্ক করার পরও সংঘর্ষ! তবে কি…..? বেলডাঙার ঘটনার মধ্যে প্রশ্ন BJP-র
সাধারণত বিভিন্ন সময়ে বিশেষ পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়ে থাকে একাধিক জেলার বিভিন্ন ক্যাম্পে। তবে সেই পরিস্থিতি মিটে যাওয়ার পরেও ওই সমস্ত পুলিশ বাহিনীকে তাদের নিজস্ব ইউনিটে ফেরানো হয়নি। দীর্ঘকাল ধরে তাদের রেখে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের এখন অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ধরনের কাজে বাহিনীকে ব্যবহার করাটা ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সাধারণত বাহিনীকে অন্য কাজে ব্যবহার করার আগে শীর্ষ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অনুমতি না নিয়েই বাহিনীকে বিভিন্ন আলাদা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, সাধারণত ব্যাটেলিয়ান ফোর্সকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহারের কথা থাকলেও ফোর্সকে কোথাও গাড়ি তল্লাশির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, কোথাও আবার ব্যবহার করা হচ্ছে সেরেস্তায়। এমনকী অফিসের কাজেও বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, এইসব বাহিনীর পুলিশ কর্মীদের ৭০টি ক্যাম্পে মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিধাননগর, হাওড়া, ব্যারাকপুর, চন্দননগর ও আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। এছাড়াও রয়েছে বারাসত, বসিরহাট, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, জঙ্গিপুর, ইসলামপুর জেলা পুলিশের ক্যাম্প। পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মালদহ, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং ও কোচবিহার জেলায় বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল। এই সমস্ত জেলার এবং কমিশনারেটের পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের এ ব্যাপারে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন এডিজি। যদিও পুলিশের আধিকারিকদের অনেকের বক্তব্য, কোথায় কত ফোর্স আছে? বর্তমানে তারা কী কাজ করছে? এই নির্দেশের মাধ্যমে সেই তথ্য জেনে নিতে চাইছেন পুলিশ কর্তারা।