রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত নতুন কিছু নয়। এরই মধ্যে বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে দাবি করেছেন রাজ্যপালকে হাওড়া পুরসভার সংশোধনী বিলের সমস্ত নথি দিয়েছেন। অন্যদিকে, গতকাল রবিবার বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের সামনেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিধানসভার অধ্যক্ষের এই দাবিকে অস্বীকার করে রাজ্যপাল পাল্টা দাবি করেছেন, তাঁকে কোনও রকমের নথি দেওয়া হয়নি। এবার এ নিয়ে রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকার উভয়কেই কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর কটাক্ষ, 'যেমন রাজ্যপাল তেমন রাজ্য সরকার। কেউ কম নয়।'
তিনি বলেন, 'রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত বাংলার ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করছে। একটি রাজ্যে একদিকের মাথা রাজ্যপাল আর অন্যদিকের মাথা রাজ্য সরকার । দুটি সাংবিধানিক সংস্থার মধ্যে এরকম চললে তা রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে বাংলায় যেমন রাজ্যপাল তেমন রাজ্য সরকার। '
একুশের পুরভোটে শতাংশের বিচারে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির থেকে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। বাকি পুরসভাগুলোতে ভোট এগিয়ে আসছে। এই অবস্থায় জেলায় জেলায় নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করতে তৎপর হয়েছে কংগ্রেস। এই উদ্দেশ্যে রবিবার কান্দির মহলন্দী জি সি হাইস্কুলে কংগ্রেসের কর্মীদের নিয়ে কর্মী সম্মেলন করেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। সেখানেই এই মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা।
অন্যদিকে, ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ওসিকে হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি কোনও অন্যায় করেননি বলেই মন্তব্য করছেন অধীর চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ভরতপুরের বিধায়ক কী আর অন্যায় করেছেন! অন্যান্য তৃণমূল নেতারা তো ফোনে বলে। উনি তো সামনেই বলেছেন। এ রাজ্যে পুলিশের কোনও ক্ষমতা নেই। ডিজি থেকে শুরু করে হোমগার্ড সকলকেই তৃণমূল নেতাদের হুমকিতে চলতে হয়। সেই হুমকি কেউ ফোনে দিচ্ছে, কেউ প্রকাশ্যে দিচ্ছে। '