রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিমদের দুর্দশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করেন, সেই আবেদনও করেছেন অধীরবাবু।
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে কী লিখেছেন অধীরবাবু? চিঠিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, রাজ্যে মুসলিমদের অবস্থা খুবই দুর্বিসহ। জাতীয় স্তরে হোক বা রাজ্য স্তরে, সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য বড় দফতর রয়েছে। প্রতি বছর সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য একাধিক নীতি প্রণয়ন করা হয় সরকারের তরফে। কিন্তু মুসলিমদের আর্থ সামাজিক অবস্থার এখনও কোনও উন্নতি হয়নি। একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য সংখ্যালঘু কমিশন আছে। সেই কমিশনের কাজই হল, সংখ্যালঘুদের কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নয়ন করা যায়, সেবিষয়ে সুপারিশ করা। সাধারণত জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে মতামত নিয়েই কমিশন সুপারিশ করে। কিন্তু পাঁচবার সাংসদ থাকা সত্বেও সংখ্যালঘু কমিশনের বৈঠকে আমাকে ডাকা হয়নি।’ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেই মুর্শিদাবাদের ৭০ শতাংশ মানুষই মুসলিম। সেই কারণে মুসলিমদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তিনি জানেন। এই মুর্শিদাবাদ রাজ্যের মধ্যে পিছিয়ে পড়া। অর্থাৎ এই জেলায় উন্নয়নের অভাব রয়েছে।’
একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেই বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী জানান, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বারবার দরবার করে মুর্শিদাবাদে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস খুলতে সমর্থ হয়েছি। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে সহযোগিতার অভাব থাকায় সেই ক্যাম্পাসের দ্রুত উন্নতিসাধন করা যাচ্ছে না। এর ফলে মুসলিম ছেলেমেয়েরা কাজ ও শিক্ষাক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়ার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এখানে কাজের সুবিধা না থাকার জন্য তাঁদের অন্য রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেই অধীরবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্বে থাকা সত্বেও মুসলিমদের আর্থ সামাজিক অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত বিষয়টি দেখার।