বাংলা ও জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অধীর চৌধুরী। গোটা দেশে কংগ্রেসের বেহাল সময়তেও সেই অধীর বহরমপুরে নিজের গড় ধরে রেখেছিলেন। তবে এবারে তিনি আর জিততে পারলেন না। পাঁচবারের সাংসদের গলায় তাই এখন হতাশা। তবে কারও প্রতি কোনও অভিযোগ নেই। আক্ষেপ অবশ্য আছে। ১৭তম লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীরকে হারের পর হাইকমান্ড থেকে কোনও ফোন করা হয়নি বা যোগাযোগ করা হয়নি। এই নিয়ে অধীর অবশ্য কোনও অভিযোগ করেননি। তবে তিনি জানান, হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা হলে তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার কথা বলবেন। (আরও পড়ুন: 'বাংলায় সংগঠন শুয়ে পড়েছে', পদ ছাড়াই দলের হাল ধরার বার্তা দিলীপ ঘোষের)
আরও পড়ুন: ইন্দিরার হত্যাকারীর ছেলে, জেলবন্দি খলিস্তানির জয় ভোটে, কোন পথে পঞ্জাবের রাজনীতি?
এদিকে অধীর জানান, তাঁকে খুব শীঘ্রই দিল্লি যেতে হবে। সাংসদ থাাকালীন তাঁর জন্য বরাদ্দ বাড়ি খালি করতে দিল্লি যাবেন অধীর। তিনি জানান, তাঁর মেয়ে সেখানে থেকে পড়াশোনা করেন। তবে এবার নতুন বাড়ি খুঁজতে হবে। এদিকে নির্বাচনে হারের পর এখন কী করবেন অধীর? জবাবে অধীরের অকপট জবাব, তিনি জানেন না। তাঁর কথায়, 'রাজনীতি করতে গিয়ে টাকা উপার্জনের দিকে মন দিইনি। তাই এখন কীভাবে সময় কাটাব, ঠিক বুঝতে পারছি না।'
আরও পড়ুন: ৯৯ হলেও এখনও সেঞ্চুরি করতে পারে কংগ্রেস! জোটসঙ্গীদের হাত পুড়িয়েই বদল অঙ্কে?
এর আগে অধীর আক্ষেপ করে দাবি করেছিলেন, তিনি হেরেছেন জাতপাত ও মেরুকরণের রাজনীতির কাছে। ২০১৯ সালেও ৮০ হাজার ভোটে বহরমপুরে জয়ী হয়েছিলেন অধীর। এরপর লোকসভায় বিরোধী দলনেতা ও সংসদে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। তবে ২০২৪ সালে নিজের গড়ে ইউসুফ পাঠানের মতো নবাগত রাজনীতিবিদের কাছে হারতে হয়েছে 'রবিনহুড'কে। এরপরই অধীর দাবি করেছিলেন, বাংলার রাজনীতি থেকে ধর্মমিনরপেক্ষতা হারাচ্ছে। ঢুকে পড়ছে মেরুকরণের সমীকরণ। এই আবহে অধীরের দাবি, বাংলায় ধর্মনিরপেক্ষদের জন্য নির্বাচনী লড়াই কঠিন হচ্ছে। (আরও পড়ুন: 'অতি লোভে তাঁতি নষ্ট', বড় রায় আদালতের, মাথায় হাত পড়তে পারে সরকারি কর্মীদের)
আরও পড়ুন: ছেলের হাতের মোয়া নাকি? আদালতের কড়া শর্তে চিন্তায় কর্মরত সরকারি কর্মীরা?
হেরে যাওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে অধীর ভোটে কারচুপির কোনও অভিযোগ করেননি। বরং তিনি বলেন, ভোট ভালোই হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, 'জেতার জন্য কংগ্রেস এখানে কোনও ত্রুটি করেনি। তবে মানুষ মনে করেছে পরপর পাঁচবার জেতানোর পর এবার আর দরকার নেই। হেরে গিয়েছি। এর আগে মানুষ অনেক আশীর্বাদ ও দোয়া দিয়েছে। ইউসুফ পাঠানকে জয়ের শুভেচ্ছা। তবে আমি স্যান্ডউইচ হয়েছি। এখানে হিন্দু ভোট ভাগ হয়েছে। মুসলিম ভোটও ভাগ হয়েছে। আমি না হিন্দু হতে পেরেছি, না মুসলিম।'