বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। একে একে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বহু বিজেপি নেতা। পুরভোটে খারাপ ফলের পর বিজেপির নেতা কর্মীদের অসন্তোষ আরও প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্য এবং জেলা কমিটির রদবদলের ফলে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। একে একে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন সায়ন্তন বসু থেকে শুরু করে দলের বহু বিধায়ক এবং নেতা। আর এ নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না কংগ্রেস। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর কটাক্ষ, 'বিজেপি একদিন তুবড়ির মতো ফেটে শেষ হয়ে যাবে।' 'বিজেপির পতন অনিবার্য' বলেই তিনি মনে করছেন। তিনি বলেন,'মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে তাই বিজেপির কাছ থেকে সমর্থন সরিয়ে নিচ্ছে। বিজেপিকে আর মানছে না মানুষ। একদিন তুবড়ির মতো ফেটে শেষ হয়ে যাবে বিজেপি। তাদের পতন অনিবার্য।' এ বিষয়ে বিজেপি নেতাদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এখন দলের অন্দরের অসন্তোষ মেটাতে তৎপর বিজেপি নেতৃত্ব। দেখা গিয়েছে, নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। সেই বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে জেলাস্তরেও। জেলা সভাপতি এবং ইনচার্জের রদবদলের ফলে বিভিন্ন জেলার বিধায়ক নেতারাও একে একে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। ক্রমশ প্রকাশ্যে এসেছে দলের অন্তরের কোন্দল। এ নিয়ে আজ সোমবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বিজেপির নেতাদের।
বাঁকুড়া, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা প্রভৃতি জেলায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে একের পর এক বেরিয়ে গিয়েছেন দলের বিধায়ক-নেতারা। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠকে এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে বিজেপির নেতৃত্ব। জানা যাচ্ছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডিএল সন্তোষ এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। তারপরেও দলের নেতাকর্মীদের অসন্তোষ কতটা কমানো সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই অবস্থায় কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতির এই মন্তব্যে কিছুটা অস্বস্তিতে বিজেপি।