কলকাতার পর শিলিগুড়ি। রাজ্যের দ্বিতীয় করোনায় মৃতের দেহ সৎকার করতেও ব্যাপক কাঠখড় পোড়াতে হল প্রশাসনকে। অবশেষে সোমবার শিলিগুড়ির সাহুডাঙি শ্মশানে শেষকৃত্য হয় মহিলার। ওদিকে মহিলার মৃত্যুর পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে তাঁর শহর কালিম্পংয়ে। আতঙ্কিত শিলিগুড়ি শহরের একাংশের মানুষও।
রবিবার ভোর ৩টে নাগাদ শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় উত্তরবঙ্গের একমাত্র করোনারোগীর। তিনি কালিম্পংয়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। চেন্নাই থেকে ফেরার পর অসুস্থ হন তিনি। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার ও WHO-র নির্দেশ মেনে তাঁর দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু কলকাতার মতো শিলিগুড়ির কোনও শ্মশানে দেহ দাহ করতে দিতে চাননি স্থানীয় মানুষ।
শহরের সব থেকে ব্যস্ত শ্মশান কিরণচন্দ্র শ্মশানঘাটে ওই দেহ দাহ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন স্থানীয়রা। এর পর শহরের বাইরে সাহুডাঙ্গি শ্মশানে দেহ দাহ করার প্রস্তুতি শুরু হয়। সংক্রমণের শঙ্কায় সেখানেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। অবশেষে বুঝিয়ে সুঝিয়ে দেহ দাহ করতে বিকেল গড়িয়ে যায়।
গত ১৯ মার্চ চেন্নাই থেকে স্পাইসজেটের বিমানে শিলিগুড়ি ফেরেন ওই মহিলা। ২০ মার্চ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত।
গত ২৩ মার্চ কলকাতায় প্রথম করোনাআক্রান্তের মৃত্যুর পরও একইরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল প্রশাসনকে। দুপুরে প্রৌঢ়ের মৃত্যুর পর রাতে দেহ নিমতলা শ্মশানে নিয়ে গেলে দাহ করতে বাধা দেন স্থানীয়রা। শেষ পর্যন্ত লাঠি চার্জ করে দেহ চুল্লিতে ঢোকাতে হয় পুলিশকে।