রাজ্য়ের বাসিন্দা মহিলাদের জন্য চালু হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। গোটা রাজ্য জুড়েই হাজার হাজার মহিলা এই ভাণ্ডার থেকে টাকা পাওয়ার জন্য ফর্ম পূরণ করেছেন। তবে দক্ষিণদিনাজপুরের হিলি সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে কিছুটা ভিন্ন ছবি। এখানে বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, দক্ষিণদিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের হাঁড়িপুকুর, উচা গোবিন্দপুর, নিচা গোবিন্দপুর সহ একাধিক গ্রাম কাঁটাতারের ওপারে রয়েছে।
এদিকে সেই গ্রামগুলি ভারতের হওয়া সত্ত্বেও একঝলক দেখে বোঝার উপায় নেই। সেখানে একেবারে হাত বাড়ালেই বাংলাদেশ। আর সেই গ্রাম সংলগ্ন বাংলাদেশের বাসিন্দারা নানাভাবে ভারতের নাগরিকদের পরিবারের সদস্য দেখিয়ে এদেশের সুযোগ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সেকারণে এবার এব্যাপারে সতর্ক প্রশাসন। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলির অন্তত ১৫ হাজার বাসিন্দার অ্যাকাউন্টে এখনও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাঠানো হয়নি। তাদের কাগজপত্র সরেজমিনে যাচাই করার পরেই এই সুবিধা দেওয়া হবে। কোনওভাবেই যাতে অন্য দেশের কোনও বাসিন্দা পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তালিকায় নাম না ঢোকাতে পারেন সেব্যাপারে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন।
সেকারণে কাঁটাতারের ওপারে থাকা বাংলাদেশ লাগোয়া গ্রামগুলি থেকে আসা ফর্ম আরও একবার যাচাই করে নিতে চাইছে প্রশাসন। সেকারণে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করা হচ্ছে। তারপরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে। তবে এদেশে বৈধ নাগরিক মহিলারা যাতে সকলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পান সেটা প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বকেয়া টাকাও তাঁদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।