সুন্দরবনকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে ঢেলে সাজাতে বিশেষ পরিকল্পনা নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে এই সুন্দরবন এলাকায় সাতটি পর্যটন হাব তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। কীভাবে সেটি বাস্তবায়িত হবে, সেটি খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন পর্যটন দফতর ও জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, গঙ্গাসাগর থেকে শুরু করে বকখালি, মৌসুমী দ্বীপ, হেনরি আইল্যান্ড, ভগবতপুরের কুমীর প্রকল্প, কুলতলি কেল্লা, মৈপীঠের গঙ্গার ঘাট, কৈখালী, সজনেখালি, পাখিরালয়, এই সব জায়গা পর্যটনহাবের মধ্যে পড়বে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, পুরনো পর্যটনকেন্দ্রগুলির সঙ্গে নতুন পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে যুক্ত করা হবে। তিনি জানান, পর্যটনকেন্দ্র মানে একটি বা দুটি বিল্ডিং তৈরি করে দেওয়া নয়। আশেপাশের পরিবেশেরও বদল আনার প্রয়োজন আছে। অনেক জায়গাতেই শৌচাগারের কোনও ভালো ব্যবস্থা নেই। রাস্তাঘাট ভালো নয়। সেজন্যই ৩০ থেকে ৪০টি দফতরের সাহায্যে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
ইতিমধ্যেই পর্যটন দফতর ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা সুন্দরবনের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে পরিদর্শন করেছেন। কিছুদিন আগে সাগরে মুখ্যমন্ত্রী যখন প্রশাসনিক বৈঠক করেন, তখন তিনি জানিয়েছিলেন, সুন্দরবনের উন্নতিতে নজর দিতে হবে। তখনই তিনি সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা করে জানিয়েছিলেন, সুন্দরবন মানেই বোটে করে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখার চেষ্টা নয়, এর যে অপরূপ প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে অর্থাৎ ম্যানগ্রোভ, কাঁকড়া, চিংড়ি, কুমীর প্রকল্প রয়েছে, সেটিও সুন্দরবনের মধ্যেই পড়ে।