নামে প্রশাসনিক বৈঠক। কিন্তু ডাক পেয়েছেন শুধু তৃণমূলি জনপ্রতিনিধিরা। বাদ বিজেপির সাংসদ। বাদ বিজেপি বিধায়করা। এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার রানাঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক শুরুর আগে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি সাংসদ – বিধায়করা। তাঁদের দাবি, প্রশাসনিক বৈঠকের নামে আসলে করের টাকায় দলীয় সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রানাঘাটে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও জেলার ৮ জন বিজেপি বিধায়ক। অভিযোগ, প্রশাসনিক বৈঠক হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের কোন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সেখানে। নদিয়া জেলায় বিজেপির মোট আট জন বিধায়ক রয়েছেন। রয়েছেন ১ জন সাংসদ। অভিযোগ প্রশাসনিক বৈঠকে তাদের কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই অভিযোগ তুলে রানাঘাটে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি বিধায়ক কর্মী সমর্থকরা।
এ বিষয়ে রানাঘাটের বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রশাসনিক বৈঠকে আমরা কেন আমন্ত্রণ পাব না? আমরা জনপ্রতিনিধি, আমাদের জানার অধিকার আছে আমাদের জেলাটা কীভাবে চলছে’।
এর পর প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে জাতীয় সড়ক ধরে রওনা দেন জগন্নাথ সরকার ও বিধায়করা। বৈঠকস্থল থেকে ১ কিলোমিটার আগে তাদের আটকায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে বলে সূত্রের খবর।
তিন দিনের জেলা সফরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নদিয়া পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে একটি জনসভা করেন তিনি। জনসভা শেষ করে শান্তিপুরে এসে রাসযাত্রা দর্শন করেন। বৃহস্পতিবার রানাঘাট ছাতিমতলার মাঠে প্রশাসনিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।