মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। কেমন আছে নয়াচর সেসব খতিয়ে দেখতেই নয়াচর পরিদর্শনের প্রশাসনিক কর্তারা। রাজ্যের ৬টি দফতরের সচিব এই নয়াচর পরিদর্শন করেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন নয়াচরের সম্পর্কে পরিকল্পনা করতে হবে। সেখানে শিল্পায়নের নয়া সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত মৎস্যচাষ ও পর্যটনর নয়া সম্ভাবনার নানা দিক খতিয়ে দেখছেন প্রশাসনিক কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, নয়াচরটা দেখো বড় ফিসিং হাব হতে পারে।জেলেদের বাড়ি তৈরি করে দিয়ে, ইকো ট্যুরিজম হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই এদিন ৬টি দফতরের সচিবরা নয়াচর পরিদর্শনে যান। সেখানে কী কী সম্ভাবনা রয়েছে তা খতিয়ে দেখে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা।
হলদিয়া থেকে স্পিড বোট বা নৌকা করে পৌঁছে যাওয়া যায় নয়াচরে। এরপর মন্ত্রীদের একটি টিমও যাবেন নয়াচরে। তাঁরা রিপোর্ট দেবেন মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে। এদিন প্রশাসনিক কর্তারা মাছ চাষের পুকুর সম্পর্কে খোঁজ নেন। অস্থায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা, সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এবার একটু পেছন ফিরে তাকানো যাক। ১৯৮৮ সালে মৎস্য দফতরের অধীনে গিয়েছিল নয়াচর। সেখানকার জমির পরিমাণ প্রায় ৪, ৬৬৩ হেক্টর। এর মধ্য়ে ১২.৫০ হেক্টর জমিতে জলাশয় রয়েছে। এই এলাকার মধ্যে ১৮৫৭টি জলাশয় রয়েছে। ২০০৭ সালে এখানে কেমিক্যাল হাব তৈরির জন্য শিল্পপতি প্রসূন মুখোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বাম সরকারের চুক্তি হয়েছিল। শিল্প সম্ভাবনার প্রসারের জন্যই শুরু হয়েছিল নয়া পরিকল্পনা। এদিকে এরপরই শুরু হয় নয়া বিতর্ক। এরপর ২০১৬ সালে আসে গ্রিন বেঞ্চের নির্দেশ যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল কোনও স্থায়ী নির্মাণ করা যাবে না ওখানে। তবে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এখানে বিপ্লব ঘটতে পারে। ট্যুরিজমের সম্ভাবনা রয়েছে।