তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পশ্চিমবঙ্গের ভুয়ো নথি দেখিয়ে বাংলাদেশিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এবার পশ্চিমবঙ্গের নথি দেখিয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার অভিযোগ উঠল আফগান নাগরিকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত মালবাজার পুরসভা। মোট ১৪টি ভুয়ো জন্ম ও মৃত্যুর প্রমাণ জারি করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। কোন নথির ভিত্তিতে এই নথিগুলি জারি করা হয়েছিল তা জানতে চেয়ে মালবাজার পুরসভাকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন - '৪ দিনে কলকাতা দখলের' জবাব- 'বাংলাদেশ সেনার জন্য সিভিক ভলান্টিয়াররাই যথেষ্ট'
পড়তে থাকুন - তন্ময় ভট্টাচার্যকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম? তদন্ত কমিটির ভূমিকায় ধোঁয়াশা
জানা গিয়েছে মাস কয়েক আগে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ৬ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছে থাকা ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। তদন্তে উঠে আসে ধৃতরা আফগানিস্তানের নাগরিক। ভারতের ভুয়ো পাসপোর্ট বানিয়েছেন তাঁরা। সেই পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ির মালবাজার পুরসভা থেকে জারি জন্ম ও মৃত্যু প্রমাণপত্রকে ব্যবহার করে। তদন্তে উঠে এসেছে ৬ জন যে জন্ম প্রমাণপত্র পেশ করেছিলেন তা মালবাজার পুরসভা থেকে জারি করা। তাদের পরিবারের ৮ জনের মৃত্যু প্রমাণপত্রও জারি হয়েছে সেখান থেকে।
এই ঘটনায় কোন নথির ভিত্তিতে শংসাপত্রগুলি জারি করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে নভেম্বর মাসে মালবাজার পুরসভাকে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সেই চিঠির জবাব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। গত ৫ ডিসেম্বর ফের সিবিআইয়ের চিঠি পৌঁছেছে পুরসভায়। চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা বলেন, ‘সিবিআই যে নথি চেয়েছে তা আমরা দেব। নথির ভিত্তিতে জন্ম মৃত্যু শংসাপত্র জারি হয়। তার মধ্যে কোনও কারচুপি হয়ে থাকলে সিবিআই খতিয়ে দেখুক।’
আরও পড়ুন - শপিং মলের ভিতরে কালো কাচে ঘেরা দোকান, তার মধ্যেই চলছিল সেই সব কাণ্ড, ধরল পুলিশ
ওদিকে বিজেপির দাবি, ‘নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। এটা ভয়ানক প্রবণতা। ওদিকে CAAর মাধ্যমে উদ্বাস্তু হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিলে বিরোধিতা করে তারা। মৌলবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে তৃণমূল। মানুষের বোঝা উচিত তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়।’