২২ বছর পর ফের পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে। রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলির সঙ্গে আগামী বছর পাহাড়েও পঞ্চায়েত ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে অন্যান্য জেলার মতো এখানে ত্রিস্তরীয় নয়, ভোট হবে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েতে।
ইতিমধ্যেই দার্জিলিং জেলায় নির্বাচন প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তার উপর কড়া নজর রাখছে স্বারষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতর এবং নির্বাচন কমিশন। দার্জিলিং-সহ সব জেলাতেই এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করে দিয়েছে কমিশন।
প্রায় ২০ বছর পর পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, সাম্প্রতিক সময়কালে পাহাড়ে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে। সেক্ষেত্রে শাসক দল যদি কিছু আসন পায় তবে ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই বদলে যেতে পারে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটেও তার প্রভাব অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, পাহাড়ে শেষ পঞ্চায়েত ভোট হয় ২০০০ সালে। ২২ বছর পর এবার দ্বিস্তরীয় নির্বাচন হবে ৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতির জন্য।
প্রশাসনের অনেকেই মনে করছেন, যদি নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত এবং সমিতি জিটিএ-র সঙ্গে সমন্বয় রেখে রাজ করতে পারে তবে এলাকার অনেক পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ত্রিস্তরীয় ভোট করাতে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন
পাহাড়ে রাজনৈতিক দলগুলির একাংশের দাবি রয়েছে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের। ১৯৮৮ সালে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল (ডিজিএইচসি) তৈরি হওয়ার পর সিন্ধান্ত হয় পাহাড়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের বদলে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। এই সিদ্ধান্ত সংবিধানেও অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে ডিজিএইচসি বদলে আসে জিটিএ (গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)। কিন্তু ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট করতে গেলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তা সে পথে না হেঁটে আপাতত দুই স্তরে নির্বাচনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।