বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Katwa Court: ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হতেই আদালত থেকে পালাতক আসামি, পরে আত্মসমর্পণ

Katwa Court: ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হতেই আদালত থেকে পালাতক আসামি, পরে আত্মসমর্পণ

আত্মসমর্পণ করল আসামি। (প্রতীকী ছবি)

একটি ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর পরে মামলা চলছিল কাটোয়া মহকুমা আদালতে। সেখানে দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলার পর শুক্রবার আদালত তাকে সাব্যস্ত করে। আদালতের এই রায় শোনার পরেই এজলাস থেকে চম্পট দেয় ওই আসামি। এরপর সারা রাত ধরে শহরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে সে লুকিয়ে ছিল।

ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে অভিযুক্ত। আর আদালতের সেই রায় শোনার পরেই একবারে ফিল্মি কায়দায় আদালত থেকে চম্পট দিয়েছিল আসামি। রাতভর তল্লাশি চালিয়েও কোথাও খোঁজ পায়নি পুলিশ। শেষে আসামি নিজেই সকালে থানায় গিয়ে আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করল। এমনটি ঘটেছে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ওই আসামির নাম জিতেন মাঝি। আজ আদালত ধর্ষণের মামলায় ওই আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

কী ঘটেছিল?

আদালত সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর পরে মামলা চলছিল কাটোয়া মহকুমা আদালতে। সেখানে দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলার পর শুক্রবার আদালত তাকে সাব্যস্ত করে। আদালতের এই রায় শোনার পরেই এজলাস থেকে চম্পট দেয় ওই আসামি। এরপর সারা রাত ধরে শহরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে সে লুকিয়ে ছিল। এদিকে পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালায় বিভিন্ন জায়গায়। পরে তার আত্মীয়রা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আইনজীবী জিতেনকে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দেন। সেই মেনে তিনি আজ শনিবার সকালে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

এদিন এজলাসে উঠতেই বিচারক তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কী কারণে তুমি পালিয়ে গিয়েছিলে?’ তার উত্তরে জিতেন জানায়, ‘আমি কিছু বুঝতে পারিনি। তাই আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। তাই পালিয়ে গিয়েছিলাম।’ এদিন এজলাসে ওঠার পর ওই আসামি বিচারকের কাছে শৌচালয়ে যাওয়ার অনুমতি চাই। তখন বিচারক মজার ছলে আসামির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এবার তুমি আর যেন পালিয়ে যেও না!’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাটোয়া মহকুমা আদালত চত্বরে শোরগোল পড়ে যায়। আসামির আইনজীবী জানান, ‘ও সাজার মানে বুঝতে পারেনি তাই আদালত থেকে চলে গিয়েছিল। পালায়নি। পরে যখন বুঝতে পারে তখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং আমি আদালতে আসতে বলি। ও তখন আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে।’

বন্ধ করুন