দল–বদল করেও যদি পদ না মেলে তাহলে মহা–বিপদ। এমনই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। কিন্তু পদ মেলেনি। সুতরাং বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলে আগ্রহ কমছে বিজেপি কর্মীদের। তাই বিজেপি ছেড়ে আসা নেতা–কর্মীদের ভোটের আগে কাজের সুযোগ করে দিতে খোদ তৃণমূলনেত্রীর কাছেই দরবার করলেন রেলশহরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার।
জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রদীপের হাত ধরেই বিজেপি ছেড়ে চার নেতা–সহ ২৬ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন কমিটির জেলা সভাপতি শৈলেন্দর সিং ও বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ গুহ ছিলেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিজেপি ছেড়ে ওই নেতাদের হাত ধরে অনেকেই তৃণমূলে এসেছেন। অথচ ওই চার নেতার কেউ তৃণমূলে পদ পাননি। ফলে এখন তাঁরা নিজেদের আপদ–বিপদ মনে করছেন বলে খবর।
এই বিষয়ে খড়্গপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা কো–অর্ডিনেটর প্রদীপ বলেন, ‘বিজেপি থেকে অনেকে এসেছিলেন। ওঁদের যাতে দলের স্বার্থে কোনও দায়িত্ব দিয়ে কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয় সেই আবেদন দিদির কাছে করেছি।’ মেদিনীপুরে সার্কিট হাউজ়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে পৌঁছন প্রদীপ। সঙ্গে ছিলেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা প্রয়াত সাংসদ নারায়ণ চৌবের বৌমা হেমা চৌবে। হেমাকে জেলা যুব তৃণমূলের সহ–সভাপতি করে দেওয়ার কথা জানান তৃণমূলনেত্রী। তারপরেই গত সেপ্টেম্বর মাসে বিজেপি ছেড়ে আসা শৈলেন্দর সিং, রাজদীপ গুহ, সজল রায়দেরও পদ দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন প্রদীপ। কিন্তু সে বিষয়ে কোনও কথা দেননি নেত্রী। ফলে প্রদীপকে কেউ বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাই নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং ভাবমূর্তি ধরে রাখতেই দিদির কাছে দরবার বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।