বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Raghunathpur: রঘুনাথপুরে ৬০০ একর জমিতে ইস্পাত কারখানা, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই বিনিয়োগ

Raghunathpur: রঘুনাথপুরে ৬০০ একর জমিতে ইস্পাত কারখানা, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই বিনিয়োগ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (PTI)

রঘুনাথপুর এলাকার লছমনপুর, ঝাড়ুখামার, শিউলিবাড়ি, দিগারডি, শিকরাট্যাড়, সেনেড়া এবং তলসাকরা মৌজার প্রায় ৬০০ একর জমি নিয়ে কারখানা গড়ে উঠছে। জমির একাংশ রাজ্য সরকারের অধিগ্রহণে রয়েছে। এখানের বাসিন্দারা জানান, শিল্প হোক আমরা চাই। শিল্পের দায়িত্বে থাকা আধিকর্তাদের কাছে আবেদন যেন স্থানীয়দের কাজ দেওয়া হয়।

রঘুনাথপুরে ইন্ডাস্ট্রি হাব গড়ে উঠবে। যার নাম দেওয়া হবে ‘জঙ্গল সুন্দরী কর্ম নগরী’। সে কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই রঘুনাথপুরে প্রায় ৬০০ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠছে কারখানা। যার খরচ ৪৫০০ কোটি টাকা। এই কারখানা গড়ে তোলার আগে রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লক কমিউনিটি হলে জনশুনানি হয়। সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক তামিল ওভিয়া এস, রঘুনাথপুর–১ বিডিও রবিশঙ্কর গুপ্তা, রঘুনাথপুর–১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অষ্টমী হাঁসদা এবং অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এখানে মহকুমাশাসক জানান, শিল্প নিয়ে এলাকার মানুষের মতামত চাওয়া হয়েছিল। জনশুনানিতে বাসিন্দারা শিল্প করার পক্ষেই মত দিয়েছেন।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে রঘুনাথপুরে?‌ বামফ্রন্টের জমানায় রঘুনাথপুরে শিল্পহাব তৈরির কাজ শুরু হয়। তখন একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, একটি স্টিল এবং লৌহ-ইস্পাত শিল্প করার জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছিল। যদিও রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ ছাড়া আর কোনও কাজ হয়নি। পালাবদলের পর দু’টি শিল্পের জন্য দেওয়া জমি রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করে। একুশের নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সভায় রঘুনাথপুরে শিল্পের কথা তুলে ধরেন। শিল্প সম্মেলনেও রঘুনাথপুরের শিল্পের উপযুক্ত পরিবেশের কথা বলা হয়। রাজ্য সরকারের নতুন বোর্ড গঠনের পরই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামতো রঘুনাথপুরে একটি কারখানা কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, রঘুনাথপুর এলাকার লছমনপুর, ঝাড়ুখামার, শিউলিবাড়ি, দিগারডি, শিকরাট্যাড়, সেনেড়া এবং তলসাকরা মৌজার প্রায় ৬০০ একর জমি নিয়ে কারখানা গড়ে উঠছে। জমির একাংশ রাজ্য সরকারের অধিগ্রহণে রয়েছে। এখানের বাসিন্দারা জানান, শিল্প হোক আমরা চাই। তবে শিল্পের দায়িত্বে থাকা আধিকর্তাদের কাছে আবেদন যেন স্থানীয়দের কাজ দেওয়া হয়। এমনকী জমিহারা পরিবারগুলির কথা যেন ভাবা হয়। জমির উপযুক্ত দাম দেওয়া হোক। আর দূষণমুক্ত পরিবেশ ও এলাকার উন্নয়নের কথা ভাবা হোক।

ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস?‌ পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‌শিল্প হলে হবে কর্মসংস্থান। এলাকার আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। রাজ্য সরকার শিল্পের জন্য তৎপর।’‌ আর কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারখানার জন্য প্রায় ৪.৫ কিমি জায়গায় সীমানা প্রাচীর দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ৬০০ একরের মধ্যে ৪০০ একর জায়গায় হবে কারখানা। ২০০ একর জায়গায় বৃক্ষরোপণ হবে। এখানে আট হাজার মানুষের প্রত্যক্ষভাবে এবং ১০ হাজার মানুষের পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে।

বন্ধ করুন