দু’সপ্তাহের জন্য বাংলা সফরে এসেছেন উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। মতুয়া ও দলিত উদ্বাস্তু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। ৫০টি বিধানসভা আসনে প্রচার করবেন তিনি। কেশব প্রসাদ নিজে 'পিছড়ে' বর্গের নেতা। তাই এখানে 'অবহেলিত' বাংলাদেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। আসলে বিধানসভা নির্বাচনে যাতে তাঁদের ভোটব্যাঙ্ক বিজেপিতে আসে, তাই এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে রাজ্যে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসার কথা রয়েছে। তার আগে সাংগঠনিকভাবে রাস্তা সাজাতে এসেছেন কেশব প্রসাদ মৌর্য। উলুবেড়িয়ায় বুদ্ধিজীবীদের একটি বৈঠকে যোগ দেন তিনি। সেখানে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি হিন্দুদের অধিকার দেওয়া হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের সরকার রাজ্যে হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁদের জন্য আমরা লড়াই করে যাব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গরিব মানুষদের একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ক্ষোভ প্রশমনে বনগাঁকে সাংগঠনিক জেলা করা হয়েছে। তাছাড়া তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাকেই সভাপতি করা হয়েছে। কেশবপ্রসাদ মৌর্য বলেন, ‘২০১৮ সালের লোকসভা উপ–নির্বাচনে উলুবেড়িয়ায় বিজেপি হিন্দু প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস মুসলিম নেতাকে প্রার্থী করেছিল। ফলাফলে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি।’ সুতরাং এবার পরিকল্পনা করেই হিন্দু তাস খেলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপি টার্গেট করেছিল দলিত ও ‘পিছড়ে’ বর্গকে (ওবিসি)। তারপর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই ভোটব্যাঙ্কে ফসল ঘরে তুলেছিল। তেমনই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বসে রূপরেখা ঠিক করেছেন কেশবপ্রসাদ। তারপরই এই সংগঠনে জোর দেওয়া ও বাংলাদেশি হিন্দু সম্প্রদায়কে টার্গেট করা হয়েছে। যা সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবে বিজেপি।
বিজেপির এক প্রথমসারির নেতা বলেন, ‘বাংলায় যোগী আদিত্যনাথের সমাবেশের বিপুল দাবি রয়েছে। বড় বড় নেতারা বাড়ি বাড়ি পর্যন্ত যাবেন। যোগী আদিত্যনাথও আসবেন এখানে সভা–সমাবেশ করতে। তবে এখনও দিনক্ষণ–তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। আগে অন্যান্য নেতারা ঘুরে যান তারপর আসবেন যোগী আদিত্যনাথ।’