বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ইঞ্জেকশন নিয়ে অসুস্থ ১৫ শিশু, তুমুল আলোড়ন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে

ইঞ্জেকশন নিয়ে অসুস্থ ১৫ শিশু, তুমুল আলোড়ন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে

একে একে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে (ফাইল ছবি )

অবাক করার মতো ঘটনা হলেও এটাই বাস্তবে ঘটেছে। এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।

ভয়ানক কাণ্ড ঘটল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সাধারণ জ্বর–সর্দির উপসর্গে এমন ইঞ্জেকশন দেওয়া হল যে, একের পর এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ল। এমনকী সেই সংখ্যাটা দাঁড়াল ১৫ জন শিশুতে! অবাক করার মতো ঘটনা হলেও এটাই বাস্তবে ঘটেছে। এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই সন্তানদের নিয়ে চলে গেলেন অনেকেই। আর এই পরিস্থিতিতে পুলিশকে ঘিরে ধরে চলল বিক্ষোভ। ইঞ্জেকশনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলে জানান হাসপাতালের সুপার।

এখানে শুক্রবার প্রায় ১৫ জন শিশুকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই একে একে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে বলে অভিযোগ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিশুদের অভিভাবকরা। হাসপাতালে ধুন্ধুমার কাণ্ড শুরু হয়ে যায়। হাসপাতালের সুপারকে ঘিরে ধরে চলে তুমুল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাঁদেরও ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো।

হাসপাতাস সূত্রে খবর, জ্বর–সর্দির উপসর্গ নিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল ভর্তি হয় ৪৫ জন শিশু। তখন তাদের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। বিকেলে ফের একই ই়ঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে একের পর এক শিশু। সংখ্যাটা রাতারাতি ১৫ জনে পৌঁছে যায়। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সন্তানদের নিয়ে অন্য হাসপাতালে চলে যান অনেকেই। এমনকী ডিসচার্জ সার্টিফিকেট বা চিকিৎসকের অনুমতিও নেননি তাঁরা। এভাবে ৭ জনকে মহকুমা হাসপাতাল থেকে অন্যত্র নিয়ে যান অভিভাবকরা। বাকি ৮ শিশু মহকুমা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। তারা সবাই সুস্থ আছে বলে খবর।

এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘৭টি শিশুকে অন্যত্র নিয়ে গিয়েছেন আতঙ্কিত অভিভাবকরা। মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ৮ শিশু এখন সুস্থ ও ভাল আছে। ভয়ের কিছু নেই। ইঞ্জেকশনের ভায়াল পরীক্ষার জন্য আলাদা করে রাখা হয়েছে।’ এই ঘটনায় হাসপাতালে যে বিক্ষোভ চলে তাতে পুলিশও জড়িয়ে পড়েন। তিন ঘণ্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

বন্ধ করুন