বামনগাছিতে মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মঙ্গলবারই অভিযুক্ত জলিল ও সুফিয়াকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করিয়েছে পুলিশ। আর তার পর তাকে জেরা করে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। তদন্তকারীদের জলিল জানিয়েছে, হজরতকে খুন করার পর তারই কিনে আনা মদ খায় তারা। এমনকী, হজরতের স্ত্রী বার বার স্বামীর খোঁজ জানতে চেয়ে ফোন করায় তাকে নিখোঁজ ডায়েরি করারও পরামর্শ দেয় জলিল।
আরও পড়ুন - জানা গেল ট্যাংরায় নিহতদের নাম, ক্রমশ জোরাল হচ্ছে খুনের তত্ত্ব
পড়তে থাকুন - ওসিকে পিটিয়ে গ্রেফতার আরেক ওসি, চাঞ্চল্য পুলিশমহলে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন হজরতকে ফোন করে ডেকে পাঠান সুফিয়া। জানান, তিনি জলিল ও হজরত মিলে পার্টি করবেন। ওদিকে খুনের প্রস্তুতি হিসাবে আগে থেকেই হাঁসুয়াসহ একাধিক অস্ত্রে ধার দিয়ে রেখেছিল জলিল। দেহ জ্বালিয়ে দিয়ে এনেছিল কেরোসিন। ওদিকে সুফিয়ার ফোন পেয়ে মদ কিনে জলিলের ভাড়া বাড়িতে পৌঁছয় হজরত। এর পর হজরতকে আরেকটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ফাঁকা মাঠে নিয়ে যায় জলিল ও সুফিয়া। সেখানে তাকে খুন করে কেটে ফেলে মাথা। সেই মাথা একটি ব্যাগে ভরে এঁদো পুকুরে ফেলে দেয় জলিল। এর পর বাড়ি ফিরে আসে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ি ফিরে হজরতের আনা মদ খায় জলিল ও সুফিয়া। এরই মধ্যে জলিলকে ফোন করে বার বার স্বামীর খবর জানতে চান হজরতের স্ত্রী। তখন জলিল তাকে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন - স্কুলের মধ্যে ২ ছাত্রের মারামারি, সহপাঠীর ঘুসিতে মৃত্যু হল ১ জনের
মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের পর উল্কি দেখে হজরতের পরিবারের সদস্যরা তা সনাক্ত করে ফেলায় প্রমাদ গোনে জলিল। ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতা স্টেশনে গিয়ে জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে ওঠে সে। সোজা চলে যায় জম্মু। ওদিকে জলিলের বাড়িতে পুলিশ পৌঁছলে সুফিয়া সোনা চুরির গল্প ফাঁদে। জানায় ৪০০ গ্রাম চুরির সোনার বখরা নিয়ে খুন। তবে মুণ্ডু কাটার পাশাপাশি যে ভাবে হজরতের পুরুষাঙ্গে আঘাত করা হয়েছিল তাতে গোয়েন্দারা নিশ্চিত ছিলেন এর পিছনে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কোনও যোগ রয়েছে।