ব্লেড দিয়ে বৌদির শ্বাসনালী কেটে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন দেওর। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহে। ঘটনায় মৃত বধূর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। রহস্যজনক এই জোড়া মৃত্যুর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া থানার দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকাইয়া গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় রাতুয়া থানার পুলিশ। মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম মিনু ঘোষ (২০) ও মৃত দেওর শিবশংকর ঘোষ (৩০)।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুরের ফতেপুরের পেমাই গ্রামে ওই গৃহবধূর পৈতৃক বাড়ি৷গত তিন বছর আগে মাকাইয়া গ্রামের বাসিন্দা শুভঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় মিনুর। শুভঙ্কর পেশায় কৃষক৷ তাঁদের দু’বছরের একটি মেয়েও রয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে শুভঙ্কর জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন৷ সেই সময় ঘরে বৌদি মিনুর গলায় ব্লেডের কোপ মেরে শ্বাসনালী কেটে তাঁকে খুন করে শিবশংকর৷ তার পর ছাদে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে৷
বিষয়টি নজরে আসলে, চিৎকার শুরু করে দেন বাড়ির লোকজন। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা৷ খবর দেওয়া হয় থানায়৷ পুলিশ এসে দু’টি দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়৷ খুনে ব্যবহৃত ব্লেডটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷ তবে কী কারণে এই খুন করল শিবশংকর তার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। ঘটনায় মৃতার স্বামীকে আটক করা হয়েছে।মৃত গৃহবধূর দাদা মুকেশ ঘোষ বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে, এই ঘটনার সঙ্গে শুভঙ্কর ও তাঁর বাবা-মা ও ছোট ভাইও জড়িত৷’আরেক আত্মীয় রিনা ঘোষ বলেন, ‘দেওরের সঙ্গে ওর কোনও সম্পর্ক ছিল না৷ এমনকী, মিনুদের পারিবারিক ঝামেলাও ছিল না৷ তবে শুভঙ্কর প্রচন্ড নেশা করত। নেশার জন্য স্ত্রী'কে মারধরও করত। এই ঘটনার পিছনে কি রহস্য লুকিয়ে আছে, সেটা পুলিশি তদন্ত করে বার করুক।’