বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > NHRC-র রিপোর্ট জমা পড়তেই BJP কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের ঘটনায় চন্দননগরে ধৃত ২

NHRC-র রিপোর্ট জমা পড়তেই BJP কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের ঘটনায় চন্দননগরে ধৃত ২

বিজেপি (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)

ভোটের ফল প্রকাশের দিনই কলকাতায় খুন হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকার।

ভোটের ফল প্রকাশের দিনই কলকাতার নারকেলডাঙায় খুন হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকার। সেই ঘটনায় এবার কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হল দুই জনকে। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় পদক্ষেপ নিতে এবং তদন্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই পর্যবেক্ষণের পরই এই গ্রেফতারি করল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে ধৃত দুই ব্যক্তির নাম সঞ্জ দে (২৬), অভিজিৎ দে (২৫)। ধৃতরা মারকেলডাঙার মহেশ বারিক লেনের বাসিন্দা হলেও তাদের চন্দনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে লুকিয়ে ছিলেন।

এর আগে ১৩ জুলাই নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। অবশ্য নির্দেশ অনুযায়ী দ্বিতীয়বার অভিজিতের ময়নাতদন্ত হলেও বিজেপি কর্মীর দেহ চিনতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ এবং হাসপাতালের বিরুদ্ধে দেহ সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করার অভিযোগ ওঠে।

উল্লেখ্য ভোট-পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ১৮ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে একটি কমিটি গঠন করে রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আদালতকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বেশ কয়েকটি টিম রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে এবং ৩০ জুন একটি গোপন অন্তর্বর্তী রিপোর্ট পেশ করে কলকাতা হাইকোর্টে।

সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ২ জুন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ তাদের নির্দেশে জানায়, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পুলিশ সক্রিয় হয়ে তা প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা করেনি। এই ব্যাপারে রাজ্যের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশে জানানো হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত যত অভিযোগ জমা পড়েছে সব অভিযোগে এফআইআর দায়ের করার পাশাপাশি প্রয়োজনে আক্রান্তদের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। একইসঙ্গে সমস্ত আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ কমিটি পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে প্রত্যেক বিচারপতিকে আলাদা আলাদা খামে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করেছে।

বন্ধ করুন