কন্যসন্তান ভূমিষ্ঠ করার পর বেশ কিছুক্ষণ স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন প্রসূতি। হঠাৎ শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা। দেখা যায়, প্রসবের পর প্রসূতির মলদ্বারও সেলাই করে দেওয়া হয়েছে। এই চরম গাফিলতির পরও দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের দাবি, ‘আমরা সেলাই করি না। সিস্টার বা নার্সরাই জানেন।’ পরে ফের অস্ত্রোপচার করে সেলাই কেটে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো হয় ওই তরুণীকে। বুধবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বুধবার ভোরে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন নদিয়ার ভীমপুরের শিমুলিয়ার ওই তরুণী। স্বাভাবিকভাবে এক কন্যাসন্তানকে জন্ম দেওয়ার পরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অসহ্য যন্ত্রণায় ককিয়ে ওঠেন তিনি। ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। ওই তরুণী অভিযোগ করে জানান, তাঁর মলদ্বার পর্যন্ত সেলাই করে দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শুনে হতবাক অন্য চিকিৎসকরা তড়িঘড়ি তাঁর অস্ত্রোপচারের বন্দোবস্ত করেন। অবশেষে ওই অবস্থা থেকে রেহাই পান শিমুলিয়ার ওই তরুণী।
এস গুপ্ত নামে এক চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি ছিলেন ওই তরুণী। ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল চত্বরে তাঁর দেখা মেলেনি। বুধবারই নদিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে ডাঃ এস গুপ্তর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তরুণীর পরিবার। ডাঃ এস গুপ্তকে এ ব্যাপারে ফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি পুরো ব্যাপারটা জানি না। আমরা তো সেলাই করি না। এ সব ব্যাপার দেখেন সিস্টার ও নার্সরাই। এদিকে, মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ আছে বলে জানা গিয়েছে।