মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পরেই রাজ্য জুড়ে চলেছে উচ্ছেদ অভিযান। জেলায় জেলায় পুরসভাগুলি ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে তৎপর হয়েছে। তারপরে অবশ্য সুর নরম করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হকারদের জীবন জীবিকার কথা ভেবে তাদের পুনর্বাসনের বার্তাও দিয়েছেন। তাই এবার হকারদের পুনর্বাসনের জন্য তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে শুরু করে দিল জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুরসভাগুলি। তাদের তরফে সরকারি জামির খোঁজ করা হচ্ছে। কোথাও সরকারি জমি পড়ে থাকলে সেখানে হকারদের পুনর্বাসন করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'দোকানটাই তো সব, এবার খাব কী?' হকার উচ্ছেদে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন নন্দিনী দিদি-সাগর
সূত্রের খবর, প্রতিটি শহর এবং মফসসলে স্থায়ী এবং অস্থায়ীভাবে কতজন হকার ব্যবসা করছেন? সেই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন এবং পুরসভাগুলি। এছাড়াও, হকারদের জন্য কোনও বিল্ডিংয়ে মার্কেটিং কমপ্লেক্স জাতীয় কিছু তৈরি করা যায় কিনা তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন আধিকারিকরা। এ নিয়ে এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি পুরসভা এলাকায় কতজন স্থায়ী এবং অস্থায়ী হকার রয়েছেন? তার তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে কোথাও সরকারি জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে কিনা তারও খোঁজ খবর করা হচ্ছে।
হাবরা, মধ্যমগ্রাম, বারাসত প্রভৃতি পুরসভা এনিয়ে তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করে দিয়েছে। হাবরা পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হকারদের জন্য বিকল্প জায়গায় খোঁজ চালানো হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত এই কাজ শেষ হবে। মধ্যমগ্রাম পুরসভাতেও এনিয়ে চলছে তৎপরতা। সেখানেও হকারদের জন্য বিকল্প জায়গা খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনিয়ে যে গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছেন তা মেনেই একইভাবে কাজ করছে বারাসত পুরসভা।
উচ্ছেদ অভিযানের পর এখন হকারদের পুনর্বাসন নিয়ে গুরুত্বসহকারে ভাবনা চিন্তা করছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও। এবিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালনের জন্য হকাদের পুনর্বাসনের বিষয়টিতে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুরসভা জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনও হকারদের তথ্য সংগ্রহ করতে মাঠে নেমে পড়েছে। এবিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার পর জেলা শাসকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতা তাপস দাশগুপ্ত। যদিও কবে পুনর্বাসন হবে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন হকাররা।