ওদের তিনজনই জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়ির চা বাগানের কিশোর। বাড়ির অভিভাবকরা বাগানে কাজ করতে চলে যান। সেই দীর্ঘ সময়টা তারা বাড়িতেই কাটায়। তবে ইদানিং পাড়ার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে খেলাধুলো করেই কাটিয়ে দিত ওরা। তবে দোষের মধ্যে দিন কয়েক আগে প্রতিবেশীর গাছ থেকে লেবু চুরি করে খেয়েছিল তারা। তারপরই থেকেই কিশোর মনে কোথায় যেন মনে হতে থাকে, না বলে লেবু নেওয়াটা ঠিক হয়নি। তাছাড়া লেবু গাছের মালিক জানতে পারলে বকাবকিও করতে পারেন। অগত্যা বাড়ি থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয় তিনজন। কিন্তু হাতে তো পয়সা নেই। এরপর শুরু হয় হাঁটা। খুট্টিমারি এলাকায় এক বন্ধুর মামার বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এরপর প্রথমে প্রায় ৮ কিলোমিটার হেঁটে তারা বিন্নাগুড়ি থেকে গয়েরকাটাতে পৌঁছয়। সেখানে থেকে টোটোতে চেপে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ঠাকুরপাঠে যায় তারা। সেখান থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে খুট্টিমারিতে যায় তারা।
সেখানেই এক বন্ধুর মামার বাড়ি। কিন্তু সেই বাড়িতেও কাউকে দেখতে না পেয়ে তারা ফের চার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ফিরে আসে ঠাকুরপাট বাজারে। এদিকে সেখানেই উদ্দেশ্য়হীনভাবে তিন কিশোরকে ঘুরে বেড়াতে দেখে সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। তারাই গ্রামীণ পুলিশে খবর দেন। পুলিশ পরে তাদের বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়। বাড়ির লোকজন এসে ওই তিনজন কিশোরকে বাড়ি ফেরৎ নিয়ে যান। অভিভাবকদের দাবি, চা বাগানের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে আসার পর দেখতে পাই ওরা বাড়িতে নেই। তারপরেই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।