কিছুদিন আগেই করোনার টিকা নিতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এবার সেই ধূপগুড়িতেই করোনা টিকা নিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হল। ভাঙা হল করোনা বিধি। ফের বিতর্কে মুখে জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে পুর প্রশাসনের কর্তারা।
এদিন জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ধূপগুড়ি গার্লস স্কুলে ১৫০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতদিন পুর এলাকার মানুষদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। এবার পুর এলাকার বাইরে আশেপাশের গ্রামীণ এলাকা থেকে আসা মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এদিন ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য শালবাড়ি, গাধেয়ারকুটি, মাগুরমারী সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ এসে লাইনে দাঁড়ান। তাঁদের অধিকাংশের মুখেই মাস্কের কোনও বালাই ছিল না। শারীরিক দুরত্বও মানা হয়নি। প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কোনও টিকাকেন্দ্রের সামনে যেন ২০০ জনের বেশি জমায়েত না করেন। কিন্তু প্রশাসনের সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে ধূপগুড়ি পুর প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এদিন এত সংখ্যক মানুষ টিকাকেন্দ্রের সামনে ভিড় করায় ঠেলাঠেলি হয়।
এদিন যারা ভ্যাকসিন নিতে এসেছিলেন, তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, গ্রামে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। বার বার তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফলে অগত্যা গার্লস স্কুলে তাঁদের আসতে হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট ধূপগুড়ির দুরামারীতে টিকাকেন্দ্রের সামনে পদপিষ্ট হয়ে আহত হয়েছিলেন ৩৫ জন। সেদিন ৭০০ জন লোককে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল পুরসভার তরফে। সেদিন মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। তবে এই প্রসঙ্গে পুরসভার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।