একের পর এক শিশু জ্বরে আক্রান্ত। ভর্তি হচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল সহ জেলার একাধিক হাসপাতালে। জ্বরের সঙ্গেই সর্দি, পাতলা পায়খানার উপসর্গও রয়েছে। চিকিৎকদের একাংশের অনুমান এটা ভাইরাল ফিভার হতে পারে। এদিকে সোমবার দুপুরে মেখলিগঞ্জ থেকে জ্বরে আক্রান্ত এক শিশুকে নিয়ে আসা হয়েছিল হাসপাতালে। পরে কাবেরি রায় নামে ৬ বছর বয়সী ওই শিশুর মৃত্যু হয়। এদিকে সূত্রের খবর জ্বরে আক্রান্ত অপর এক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়িতে। মাত্র ৪ মাস বয়সী ওই শিশুর নাম মৃ্ত্তিকা রায়। তার বাড়ি আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতগাড়া নিউ কলোনিতে। ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, 'মৃত অবস্থাতেই তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল।' কিন্তু ময়নাতদন্ত না করেই শিশুটির দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
তবে মৃত্য়ুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, কয়েকদিন ধরেই শিশুটির জ্বর, সর্দি, কাশি ছিল। জ্বর বেড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর এব্যাপারে খোঁজ খবর করছে। কিন্তু গোটা ঘটনায় শিশুদের অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, অসুস্থ শিশুরা করোনা আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু অভিভাবকদের একটাই প্রশ্ন কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে তাদের বাচ্চা?
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। বৃষ্টিতে যাতে না ভেজে এটা দেখতে হবে। বার বার হাত ধোয়া অভ্যাস করতে হবে। শ্বাসকষ্টও হচ্ছে অনেকের। এব্যাপারে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বাড়িতে কারোর সর্দিকাশি থাকলে তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।