একদিন আগেই সোদপুরে রেলের অমানবিক ঘটনা দেখেছিল জনগণ। কিন্তু তা থেকে বিন্দুমাত্র শিক্ষা নিল না ভারতীয় রেল। বৃহস্পতিবার শান্তিপুর লোকালের ধাক্কায় পুরোহিত জখম অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে ছিলেন রেল লাইনের ধারে। রেলের আধিকারিকরা দেরি করে আসায় মারা যান পুরোহিত। এবার একই অমানবিক ঘটনা ঘটল ফের ঘটল রেলের সৌজন্যে। শুক্রবারও ট্রেনের ধাক্কায় জখম ব্যক্তি দীর্ঘক্ষণ পড়ে রইলেন স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। এই ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগর স্টেশনে। বেলুড় জিআরপি অনেক পরে জখম ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠায়।
ঠিক কী ঘটেছে সেখানে? শুক্রবার এক ব্যক্তি ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বরাহনগর স্টেশনের কাছে তাঁর ট্রেনে ধাক্কা লাগে। সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় পড়ে যান। আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তি দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকেন। কারণ তখনও রেলপুলিশ আসেনি। পরে এসে তাঁকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ওই জখম যাত্রীকে বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকতে হয়।
কেন এমন বিলম্ব হল? জানা গিয়েছে, রেল কর্তৃপক্ষ দেরিতে খবর দিয়েছিল। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ রেল। তারা সঠিক সময়ে খবর দিয়েছিল। কিন্তু রেল পুলিশ আসতে দেরি করেছিল। নিয়ম হল, ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটলে পরবর্তী স্টেশনে খবর দেয় চালক–গার্ড। রেল পুলিশকে মেমো দেয় স্টেশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানে গোটা প্রক্রিয়াটাই দেরি হয়েছিল বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, গতকাল সোদপুর স্টেশনেও একই ঘটনা ঘটেছিল। যার জেরে রেললাইনেই মৃত্যু হয় পুরোহিত উৎপল চক্রবর্তীর। এবার সোদপুরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। তবে মারা যাননি ওই ব্যক্তি। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কেন বারবার রেলের এমন উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে বারবার তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রেল পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয়রা।