একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে। আর রাজ্যে তা নিয়ে শোরগোল অব্যাহত। এবার ভয় দেখিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নেতড়া গ্রামে। এই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে নেতড়া গ্রামে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানার নেতড়া উত্তর শেওড়দাহ এলাকায়। অভিযুক্তের নাম এমাদুল আখন (৪৫)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ব্যক্তি প্রতিবেশী নাবালিকাকে ভয় দেখায়। আর জোর করে ধর্ষণ করে। এই ঘটনা যাতে ফাঁস না হয় তার জন্যও নাবালিকাকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখামো হয়। তবে নির্যাতিতার কাকার মেয়ে সব জেনে পরিবারের কাছ জানিয়ে দেয়। তখনই বাড়ির সদস্যরা জানতে পারে তাঁদের মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত এমাদুল আখনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। আজই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই গ্রেফতারের পর পুলিশ আজ নাবালিকার মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে তাকে। এই রিপোর্ট পাওয়ার পর সেটি আদালতে পেশ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে জোর আলোড়ন শুরু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে কড়া শাস্তির দাবি করা হয়েছে। গোটা নেতড়া গ্রানে এখন এটাই চর্চা চলছে।