রাজ্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে দালাল চক্র বন্ধ করার জন্য কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সক্রিয় হয়ে উঠছে দালাল চক্র। এবার দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠার প্রমাণ মিলল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালের পরিবর্তে নার্সিংহোমে নিয়ে যেতে সেখানে দালালরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের এক শ্রেণির কর্মী থেকে শুরু করে পুলিশ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। এমনটাই অভিযোগ তুলেছে রোগী পরিবার।
রণিতা দাস নামে মেমারীর সাতগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা তার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে দিন কয়েক আগেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসক জানান তার মায়ের পা কেটে বাদ দিতে হবে। এর জন্য তাকে কলকাতায় নিয়ে যেতে হবে। এর পরে তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সময় সজল বাগ নামে এক ব্যক্তি পরামর্শ দেন, খোশবাগানের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। সে মতোই তিনি মাকে নিয়ে ওই নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন। অথচ দুই দিন ভর্তি থাকার পরে সেখানে কোনও চিকিৎসা করা হয়নি বলে অভিযোগ। ওষুধ তিনি নিজেই কিনেছেন অথচ নার্সিংহোম তার কাছ থেকে প্রথমে ৩৫ হাজার টাকা ও পরে আরও ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। পরে তিনি মাকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার কথা জানালে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তার কাছ থেকে আরও ৬০ হাজার টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় তিনি হাসপাতালের কর্তব্যরত পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তাকে ধমক বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলে। ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অনেক রোগী পরিবার এর আগেও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল কিন্তু পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দিয়েছিল বলে অভোজগ। যদিও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ জানিয়েছেন, ‘রোগী পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে সে ক্ষেত্রে আমাদের কাছে অভিযোগ জানাতে হবে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।’ এর আগেও এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার। নতুন করে অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন