পেট্রাপোল স্থলবন্দরে করোনা–বিধি শিকেয় উঠেছে। বাণিজ্যের কাজে এখানে জড়ো হচ্চেন একাধিক মানুষজন। যাঁরা করোনা–বিধি মানছেন না বলে অভিযোগ করলেন ক্লিয়ারিং এজেন্টরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আতঙ্কে এই এজেন্টদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সংগঠনের নাম।
ঠিক কী ঘটেছে সীমান্তপারে? এই সংগঠনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘২০২০ সালে করোনা–বিধি মেনে বাণিজ্যের কাজ চলেছিল। কিন্তু ২০২১ সালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছনে পড়লেও বন্দর এলাকা স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে না। ট্রাকের চালক–খালাসিদের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না। মাস্ক–স্যানিটাইজ়ার বিলি কিছুই করা হচ্ছে না। সুতরাং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’
দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে বাইরে থেকে পেট্রাপোল বন্দরে আপাতত ট্রাক আসা বন্ধ করার দাবি তোলা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মেন্টর গোপাল শেঠ মুখ্য সচিব–সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন যে, ‘বনগাঁর করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই অবস্থায় অবিলম্বে বাইরের ট্রাক ঢোকা বন্ধ করা না গেলে করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকার নেবে। তাই ট্রাকগুলি দ্রুত খালি করে ফেরত পাঠানোরও আবেদন করেছি।’