প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাসত জেলা হাসপাতাল চত্বর। বুধবার সন্ধ্যায় সেখানে ঘোলার বাসিন্দা রত্না দাস নামে ওই মহিলার মৃত্যুতে হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠি চলাতে হয় পুলিশকে।
ঘোলার কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রত্নাদেবীর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তাঁর স্বামী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রসবযন্ত্রণা শুরু হওয়ায় বুধবার সকালে স্ত্রীকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির জন্য ওয়ার্ডের মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হয়নি রোগীর কোনও আত্মীয়কে। ভর্তির কিছুক্ষণ পর রত্নাদেবী ফোনে তাঁকে জানান, যন্ত্রণা প্রচণ্ড বেড়েছে। অভিযোগ, এর পর তিনি স্ত্রীকে দেখতে ওয়ার্ডে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
মৃতার স্বামীর দাবি, এর কিছুক্ষণ পর জরুরি সিজারিয়ান সার্জারি করার জন্য রত্নাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান চিকিৎসকরা। কিছুক্ষণ পর তাঁকে জানানো হয়, রোগীর অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁকে ICU-তে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। এর পর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ জানানো হয়, মৃত্যু হয়েছে রত্নাদেবীর। মৃত্যু হয়েছে সন্তানটিরও।
এর পরই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা হাসপাতাল চত্বর। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন প্রয়াত প্রসূতির আত্মীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পৌঁছয় বারাসত থানার পুলিশ। বিক্ষোভ থামাতে লাঠি চালায় তারা।
মৃতের স্বামীর অভিযোগ, অপারেশন থিয়েটারে ভুল ইনজেকশন দেওয়াতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রীর। এমনকী স্ত্রীর মৃত্যুর সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গোপন করছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, রোগীর মৃত্যুর পর তিনি দেখেন, দেহ শক্ত হয়ে গিয়েছে। যা সদ্য প্রয়াত ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঘটা সম্ভব নয়।
এই ঘটনায় বারাসত জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার স্বামী।