কিছুদিন আগেই কোচবিহারের সিতাই বিধানসভার হোকদহ গ্রামে মৃত্য়ু হয়েছিল বিজেপি কর্মী অনিল বর্মনের। তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর এনিয়ে নানা চাপানউতোর চলে। বিজেপির দাবি , তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে মেরে ফেলেছে। অন্য়দিকে তৃণমূলের দাবি পারিবারিক বিবাদের জেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে মঙ্গলবার সেই মৃত অনিল বর্মনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে সমবেদনা জানানোর কথা ছিল রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় প্রমুখের। সেই মতো বেরিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পথেই তৃণমূল কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন তাঁরা।
একেবারে ঝাঁটা হাতে প্রচুর মহিলা রাস্তায় বেরিয়ে তাঁদের গাড়ি আটকায়। কালো পতাকা হাতেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দারা। বাঁশ দিয়েও রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। তবে এদিন বিক্ষোভকারীদের হাতে দলীয় কোনও পতাকা বিশেষ ছিল না। গোটা ঘটনায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়। কিন্তু বিক্ষোভ হঠাতে পুলিশকেও বেগ পেতে হয়।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বিজেপি জনপ্রতিনিধিরা কার্যত মুখোমুখি হয়ে যান। একদিকে গো ব্যাক স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। অন্য়দিকে ভারত মাতার নামে জয়সূচক স্লোগান দেন বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এলাকায় অশান্তি পাকানোর জন্য তারা এসেছেন। অন্য়দিকে বিজেপির দাবি, তৃণমূল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এসব করছে। প্রসঙ্গত এবার কোচবিহারের ৯টি বিধানসভা আসনের মধ্যে সাতটি পেয়েছে বিজেপি। তবে সিতাই আসনটি তৃণমূলের দখলেই রয়েছে।