মহালয়া পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অব্যাহত রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলন। টানা ৭ ধরে কর্মবিরতি করছেন কর্মীরা। আজ সোমবারও একাধিক ডিপো থেকে মিলল না এসবিএসটিসি’র বাস। তার জেরে নাজেহাল অবস্থা যাত্রীদের। বেশ কিছু ডিপো থেকে বাস ছাড়লেও কম সংখ্যায় চলছে। যার ফলে মিলছে না টিকিট। আবার টিকিট পাওয়া গেলেও উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে বাসগুলিতে। কর্মীদের আন্দোলনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: মনে BJP, হাতে শুধু তৃণমূলের ঝান্ডা, SBSTC কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন শুভেন্দু
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ তিনি বলেন, ‘যেমন শিক্ষা বিভাগে চলছে। একাধিক ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক-শিক্ষিকারা দীর্ঘদিন ধরে ধরণা, অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। সেরকম স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তাররা জুনিয়র ডাক্তাররা, নার্সরা কর্মবিরতি করছেন। এখন বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের অস্থায়ী কর্মীরা যোগ্য বেতন পাচ্ছেন না, কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন না, স্থায়ীকরণ হচ্ছে না। হাতে নিয়োগপত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন যুবকরা। এই যে একটা ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার জন্য হয়েছে। ১২ বছর ধরে টাকা লুঠ করো সরকার চালাও এই নীতিতে চলছে তৃণমূল। টাকা দিয়ে ভোট কিনে ক্ষমতায় আসছে। এর থেকে বেশি কিছু মুখ্যমন্ত্রী করেননি।’
এদিনও অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলন জেরে স্তব্ধ এসবিএসটি বাস পরিষেবা। এদিন বীরভূমের রামপুরহাট, সিউড়ি ডিপো থেকে এসবিএসটির কোনও বাস চলাচল করেনি। দুর্গাপুর, পুরুলিয়া ডিপোতেও চলছে না এসবিএসটির কোনও বাস। বর্ধমান ডিপোতে এসবিএসটির বাস ছাড়লেও তা সংখ্যায় অনেক কম। কর্মীদের দাবি, তারা যে বেতন পাচ্ছেন তাতে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তারওপর সারা মাস কাজ পাচ্ছেন না তারা। তাদের দাবি, কমপক্ষে মাসে ২৬ দিন কাজ দিতে হবে। বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। অস্থায়ী কর্মীচারীদের স্থায়ীকরণের ব্যবস্থাও করতে হবে। এছাড়াও, তাদের যে সমস্ত রুট রয়েছে সেই সমস্ত রুটেই বাস পরিষেবা চালু করতে হবে। এই ধরনের বিভিন্ন দাবিকে সামনে রেখে কর্মীরা বিক্ষোভ করার পাশাপাশি ও কর্মবিরতি পালন করছে। এই অবস্থায় কবে এসবিএসটি বাস পরিষেবা স্বাভাবিক হবে সেদিকেই তাকিয়ে আছেন যাত্রীরা।