বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ভোররাত থেকে লাইন, ডায়মন্ডহারবারে খালি হাতে ফিরতে হল রেশন গ্রাহকদের

ভোররাত থেকে লাইন, ডায়মন্ডহারবারে খালি হাতে ফিরতে হল রেশন গ্রাহকদের

তুমুল বিক্ষোভ রেশন দোকানের সামনে (নিজস্ব চিত্র )

রেশন দোকানের তরফে দাবি করা হয়েছে, সরকারি নির্দেশে নানা কড়াকড়ি করা হয়েছে। সকলের ক্ষেত্রেই বায়োমেট্রিক ছাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

রেশন নিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার ডায়মন্ডহারবারের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে তুমুল বিক্ষোভ বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, ভোর থেকে রেশনে দোকানের সামনে লাইন দিচ্ছেন বাসিন্দারা। কিন্তু লিঙ্ক না থাকা, বায়োমেট্রিকের জটিলতা সহ নানা কারনে রেশন সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এনিয়েই এদিন বিক্ষোভ চরমে ওঠে। তবে রেশন দোকানের তরফে দাবি করা হয়েছে, সরকারি নির্দেশে নানা কড়াকড়ি করা হয়েছে। সকলের ক্ষেত্রেই বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর জেরেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এদিকে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অনুরোধে বায়োমেট্রিক ছাড়াই রেশন সামগ্রী বণ্টন শুরু হয়।

 

গ্রাহকদের একাংশের দাবি, দিনের পর দিন ধরে এই লিংকের সমস্যা চলছে। ভোররাত থেকে বাসিন্দারা রেশন সামগ্রী পাওয়ার জন্য লাইন দিচ্ছেন। অথচ বেলা বাড়লেও রেশন মেলেনি। বায়োমেট্রিক দেওয়াকে কেন্দ্র করেও নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এনিয়ে বার বার রেশন ডিলারকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এদিকে এক বৃদ্ধা গ্রাহক বলেন, দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে রেশন দোকানে এসেও রেশন মিলছে না। এভাবে কেন বার বার হয়রানি করা হচ্ছে? তবে রেশন দোকানের কর্মী অয়ন ভৌমিক বলেন, বায়োমেট্রিকটা ১০০ শতাংশ করার জন্য খাদ্য দফতর বলেছে। বায়োমেট্রিক ছাড়া যাতে একজনকেও সামগ্রী না দেওয়া হয় সেকারনে খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সার্ভার ডাউন থাকার জন্য বায়োমেট্রিক করা যাচ্ছে না। অনেককেই ফিরে যেতে হচ্ছে।

 

বন্ধ করুন