টানা ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। কিন্তু তারপরও বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে বন্দি রয়েছেন বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক, রেজিস্ট্রার এবং প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। এই ঘটনায় জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। কারণ অনলাইনে পরীক্ষা, হোস্টেল খোলা–সহ নানা দাবিতে সোমবার থেকে বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। যা এখনও অব্যাহত।
ঠিক কী কী দাবি পড়ুয়াদের? বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দাবি, এখনই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল খুলে দিতে হবে। অনলাইনে পড়িয়ে অফলাইন পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, অবিলম্বে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। এইসব দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত মানা হবে, ততক্ষণ এই বিক্ষোভ চলবে।
এদিকে টানা ৭২ ঘন্টা আধিকারিকদের আটকে রাখা হয়েছে। ফলে একটা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এথন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নয়াদিল্লিতে রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আর এই সমস্যার সমাধান কেমন করে মিটবে তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে ঘনিষ্ঠমহলে উপাচার্য জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা আন্দোলন প্রত্যাহার করলেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে।
অন্যদিকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও কথা শুনছেন না তাঁরা বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। তাই বিশ্বভারতী অচল করার ডাক দেওয়া হয়। তখন পড়ুয়ারা পাঠভবনে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের বাধা দেন। তা নিয়েই শুরু হয় তুমুল বচসা। এই পরিস্থিতিতে গেট টপকে পড়ুয়ারা ভিতরে ঢোকেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হামাগুড়ি দিয়ে বেরনোর চেষ্টা করেন রেজিস্ট্রার। কিন্তু পড়ুয়ারা তাঁর জামা ধরে টেনে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ।