উপনির্বাচনের জন্য আজ ভোট গ্রহণ শুরু হতেই আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে ঘিরে বিক্ষোভ এবং তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। এ প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা পাল গাড়িতে গুন্ডা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে পাল্টা অভিযোগ তুললেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘অগ্নিমিত্রা বাইরের গুন্ডাদের নিয়ে গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন। মানুষ তো তার প্রতিবাদ করবেই।’
ফিরহাদ হাকিমের প্রশ্ন, ‘একজন প্রার্থী হিসেবে অগ্নিমিত্রা ভোটকেন্দ্রে যেতেই পারেন। কিন্তু তিনি কেন বাইরের লোকদের নিয়ে গিয়ে এলাকার মানুষদের ভয় দেখাবেন?’ তিনি বলেন, ‘এটা তৃণমূল বা বিজেপির বিষয় নয়, এলাকার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। মানুষ যদি প্রতিবাদই না করে তাহলে গণতন্ত্র থাকবে না।’ অন্যদিকে, সংবাদমাধ্যমের গাড়ি আটকানো প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘এখন পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশন কী নির্দেশ দিয়েছে সেটা নির্বাচন কমিশনই বলতে পারবে। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এতে আমরা কিছু জবাব দিয়ে করতে পারবো না। সংবাদমাধ্যমকে পাশ দিয়ে থাকে নির্বাচন কমিশন। ফলে কাকে পাশ দেওয়া হয়েছে, কাকে দেওয়া হয়নি সেটা আমরা বলতে পারব না।’
বালিগঞ্জ কেন্দ্রে এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জাম করার অভিযোগ তোলেন কেয়া ঘোষ। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘যে যাচ্ছে সেই ভোট দিয়ে চলে আসছে। বুথ ফাঁকা, জাম হবে কী করে!’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘গ্রীষ্মের দাবদাহ, তার সঙ্গে রমজান মাস থাকার কারণে পোলিং পার্সেন্টেজ কম হচ্ছে।’ বালিগঞ্জ উপ নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেই দাবি করেছেন ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি এজেন্টদেরকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদের কটাক্ষ, ‘ওদের এজেন্টই নেই তো এজেন্ট ঢুকবে কোথা থেকে! এইসব বলে বিজেপি হাওয়া গরম করতে চায়ছে।’