বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তৃণমূলের বাধার মুখে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে একাধিক জায়গায় তাঁকে বাধা দেয় তৃণমূলকর্মীরা। অগ্নিমিত্রার গাড়ি লক্ষ্য করে দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগান। অবশেষে একটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ফেরেন বিজেপি নেত্রী।
আর্ত ও দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বিজেপি নেতানেত্রীদের ওপর তৃণমূলের গুন্ডামি যদিও নতুন কিছু নয়। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই হাওড়ার বন্যায় ত্রাণ বণ্টন করতে গিয়ে তৃণমূলের বাধার মুখে পড়েছিলেন বিজেপিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের বাধা ও হামলার মুখে পড়েছেন বিজেপি নেতারা। এমনকী প্রশাসনের বিরুদ্ধেও বিজেপি নেতাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে নেতাইয়ে মৃতদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনও ঘটল সেরকমই এক ঘটনা।
কাকদ্বীপের মধুসুদনপুর গ্রামের ১৫ জন বাসিন্দা করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় হতাহত হয়েছেন। এদের তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান অগ্নিমিত্রা। অভিযোগ, পথে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় স্লোগান তোলে তৃণমূল। বিক্ষোভ দেখানো হয় বিজেপির অঞ্চল সভাপতিদের নেতৃত্বে। দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগান। এর পর বুদ্ধদেব বাগ নামে এক মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখাকরে ফিরে আসেন অগ্নিমিত্রা।
ফেরার সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ও তাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে এটা আমার দায়িত্ব। তৃণমূল আমাকে বারবার বাধা দিয়েছে। বিপর্যয়ের মুহূর্তেও রাজনীতি করছে ওরা। মুখ্যমন্ত্রীকে আমার প্রশ্ন, কেন ওদের এই রাজ্যের যুবকদের উনি কাজ দিতে পারলেন না? কেন বাইরে কাজে যেতে হল ছেলেগুলোকে? চিৎকার করে আর নিজের অপদার্থতা ঢাকতে পারবেন না মমতা।’