উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোনও কৃষক যেন বাংলা শস্যবিমার আওতার বাইরে না থাকেন। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই কঠোর নির্দেশ দিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নবান্নে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শুধুমাত্র অফিসে বসে নথি যাচাই নয়, আধিকারিকদের প্রয়োজনে সরাসরি এলাকায় গিয়ে চাষিদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের নাম বিমার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: উত্তরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে সরকার, শস্য বিমা প্রকল্পে নাম নথিভুক্তিতে শিবির
দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর এবং মালদা উত্তরবঙ্গের এই আট জেলা বর্তমানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতির মুখে। বন্যা ও ভূমিধসের জেরে বহু কৃষকের ফসল একেবারে মাঠেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কৃষক পরিবারগুলিকে আর্থিক সুরক্ষা দিতে বাংলা এই উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষি বিপণন দফতরের প্রধান সচিব ওঙ্কার সিং মীনা, ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং ক্ষতিগ্রস্ত জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তারা। আলোচনায় উঠে আসে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বিমা তালিকায় এখনও বঞ্চিত থাকা বহু কৃষকের বাস্তব সমস্যা। সেই কারণেই কৃষিমন্ত্রীর দৃঢ় নির্দেশ, কেউ বাদ পড়বেন না। দরকার হলে প্রতিটি গ্রামে গিয়ে নাম তুলতে হবে।
সরকার ইতিমধ্যে চাষিদের হাতে বিনামূল্যে ভুট্টা, ডাল ও সর্ষের বীজ তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তিনি জানান, বাংলা শস্যবিমায় ইতিমধ্যেই ৪২ লক্ষ কৃষক নাম তুলেছেন। আরও অনেকে যোগদান করবেন। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে কোনওভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না।