উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এইমস হাসপাতাল করা যায়নি। এনিয়ে অসন্তোষ কম কিছু নয়। তবে কল্যাণীতে এইমস হয়েছে। এবার সেই হাসপাতালেই ইন্ডোর পরিষেবা চালু হতে পারে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই হাসপাতালের উদ্বোধন করতে পারেন রবিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এই হাসপাতালকে ঘিরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার লোকজন নতুন করে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। কবে এই হাসপাতালের ইন্ডোর পরিষেবা চালু হয় সেদিকে নজর ছিল সব মহলের। শেষ পর্যন্ত এইমসের ইন্ডোর পরিষেবা আর কয়েকদিনের মধ্যে চালু হতে চলেছে।
প্রায় ২০,০০০ বর্গমিটার এলাকার উপর গড়ে উঠেছে এই আধুনিকতম হাসপাতাল। তবে এই হাসপাতালের দূষণ সংক্রান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে বলে খবর।
দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থে তৈরি হয়েছে এই অত্য়াধুনিক হাসপাতাল। বিরাট ভরসা রাজ্য়ের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে পুরোপুরি পথ চলা শুরু হবে এই হাসপাতালের। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এখানে আপাতত ৯৬০টি বেড থাকছে। মেডিক্যাল আসন সংখ্য়া থাকবে ১২৫টি।
কার্যত বিনামূল্য়ে এখানে চিকিৎসা করানো যাবে। দেশের একেবারে নামকরা চিকিৎসকরা থাকবেন সেখানে। একেবারে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা থাকছে এখানে। কার্যত বিশ্বমানের চিকিৎসা পরিষেবা মিলতে পারে একই ছাতার তলায়। সূত্রের খবর, এখানে চিকিৎসা করাতে গেলে ১০ টাকা দিয়ে বুকলেট তৈরি করতে হবে। এই বুকলেটের মেয়াদ থাকবে ১ বছর। সেই ১ বছরের মধ্য়েই আপনি বিনামূল্যে একেবারে আধুনিকতম চিকিৎসা পাবেন।
সূত্রের খবর, রোগী ভর্তির জন্য় এখানে প্রথমে ৩৫০ টাকা দিতে হবে। মানে জেনারেল বেডের ভাড়া ৩৫ টাকা করে। এই নামমাত্র টাকার মধ্য়েই রোগীদের খাবারের ব্যবস্থাও থাকবে। কসান মানি হিসাবে ২৫ টাকা দিতে হবে। একেবারে বেড ভাড়া ও খাওয়া মিলিয়ে ১০ দিনের মোট টাকা ৩৫০ টাকা দিলেই হবে। তার সঙ্গে ২৫ টাকা যুক্ত করে অর্থাৎ ৩৭৫ টাকা দিলেই আধুনিকতম চিকিৎসা। এককথায় একেবারে বেসরকারি কর্পোরেট হাসপাতালের ধাঁচে তৈরি হয়েছে এই হাসপাতাল। শুধু কল্যাণী নয়, নদিয়া সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষও এই হাসপাতালের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। সেই সঙ্গেই ইশ্বরগুপ্ত ব্রিজ পেরিয়ে হুগলির দিক থেকেও সহজেই রোগীরা এই হাসপাতালে যেতে পারবেন।
একেবারে নামমাত্র খরচে এখানে বিভিন্ন পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। আয়ুস্মান কার্ড করা থাকলে এখানে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা মিলবে। এই হাসপাতালকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন বুনছে বাংলা।