শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর জোর জল্পনা চলছে তাঁর পরিবারের অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। বুধবার কাঁথিতে তৃণমূলের সভায় ‘অসুস্থতার জন্য’ হাজির থাকবেন না দলের জেলা সভাপতি তথা স্থানীয় সাংসদ শিশির অধিকারী। এই নিয়ে এবার অধিকারী পরিবারের উদ্দেশে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। অধিকারী পরিবারের প্রত্যেক সদস্যেরই তুমুল সমালোচনা করেন তিনি।
শুভেন্দু বেসুরো হওয়ার পর থেকে দলের তরফে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন অখিলবাবু। এবার তিনিই নিশানা করলেন অধিকারী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে। শিশিরবাবুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অখিল গিরি বলেন, ‘উনি দীর্ঘদিন দলের কাজকর্ম করেন না। খাতায় কলমে না হলেও উনি বিজেপিতেই চলে গিয়েছেন।’ শুভেন্দুর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে অযোগ্য লোক বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ‘ওকে তো সাংসদ করা হয়েছে।’ শুভেন্দুবাবুর আরেক ভাই তথা কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারীরও সমালোচনা করেন তিনি।
শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদানের পর বুধবার কাঁথিতে তৃণমূলের প্রকাশ্য কর্মসূচি। সেখানে মিছিল ও সভা করবেন তৃণমূল নেতা সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিম। হাজির থাকবেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। সভার যে ব্যানার শহর জুড়ে পড়েছে তাতে কোথাও নেই অধিকারী পরিবারের কারও ছবি বা নাম।
শিশিরবাবু জানিয়েছেন, ‘আমার পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তার পর গত ১৫ দিন হাঁটিনি। এখনো মাটিতে পা ফেলতে পারছি না। ফলে আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।’ সঙ্গে তিনি জানান, আমন্ত্রণপত্র হাতে পাইনি। তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান হলেও আমাকে কিছুই জানানো হয়নি।’