ফাঁসানো হয়েছে তাকে। এমনই দাবি, জম্মু - কাশ্মীরের রামবানে গ্রেফতার আল কায়েদা জঙ্গি আমির উদ্দিনের পরিবারের। ধৃত জঙ্গির মা থেকে পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, কাশ্মীরে কাপড়ের ব্যবসা করত সে। জঙ্গিবাদের সঙ্গে কোনও যোগ নেই তার।
সোমবার জম্মু - কাশ্মীরের রামবান থেকে গ্রেফতার হয় আল কায়েদা জঙ্গি আমির উদ্দিন। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় চিনে তৈরি গ্রেনেড। হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের মাসিলা পাঠানপাড়ার বাসিন্দা আমির উদ্দিন আল কায়েদা জঙ্গি একথা মানতে পারছেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তারা জানিয়েছেন, পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে আমিরুদ্দিন চতুর্থ সন্তান। মাদ্রাসায় পড়াশুনো করেছিল সে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ানো ছাড়াও দর্জির কাজ করত। পরে ব্যবসা বড় হলে কাপড় বিক্রি করতে কাশ্মীরে যায়। সেখানেই বিয়ে করে সংসার পাতে। পুজো - পরবে মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়িতে ফিরত সে।
আমির উদ্দিনের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, এত বড় একটা অভিযোগ তো দিয়ে দিলেই হবে না। তদন্ত করে প্রমাণ করতে হবে। আমার ছেলে এই ধরণের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এটা বিশ্বাস হচ্ছে না।
পরিবারের অপর সদস্য জাহিরা বেগম জানান, চার বছরের বেশি সময় ধরে সে জম্মু কাশ্মীরে রয়েছে। প্রতিদিন পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথা হতো ফোনে। ওখানেই তিনি একটি মাদ্রাসাতে পড়াত। বিয়েও করেছেন কাশ্মীরের বাসিন্দা এক মহিলাকে। যে কোনো পরবে সাঁকরাইলে নিজের বাড়িতে আসত। ছয় মাস আগে বখরি ইদের সময়েও এসে এক মাস ছিল। তিনি বলেন, আমির উদ্দিন কেমন ছেলে সেটা এলাকার বাসিন্দাদের থেকে জিজ্ঞাসা করুন।
আলমগির খান দাবি করেন, তাঁর ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে। সে কোনও ভাবেই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে না। ঘটনার কথা মঙ্গলবার সকালে তিনি জেনেছেন। ভাইয়ের মোবাইল ফোনে ফোন করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কাশ্মীরে তাঁদের কেউ জানাশোনা নেই, যার সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ পাবেন। তিনি জানান, আমিরুদ্দিনের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হতো না। পাশাপাশি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গেও কাজের কথা ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে কথা হতো না বলেই দাবি করেন আলমগির।
মঙ্গলবার সকালে আমিরুদ্দিনের গ্রেফতারির ঘটনা চাউর হতেই এলাকার বাসিন্দারা ভিড় জমান খান পরিবারের বাড়িতে। সম্প্রতি পরিবারটি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে পাকা ঘর পেয়েছে। যদিও এলাকাবাসীর কাছে ভালো ছেলে আমিরুদ্দিন আলকায়দার মতো ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সেটা শোনার পর থেকে যথেষ্টই অবাক হয়েছেন সকলেই। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।