শীতের মরশুমে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে গিয়ে থাকেন পর্যটকরা। সেখানে ঘুরে বেড়ানো থেকে শুরু করে নাইট সাফারি বেশ জনপ্রিয়। এবারও সেখানের নানা হোটেল বুক করেছেন পর্যটকরা। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত ভিড় থাকবে পর্যটকদের। যা নিয়ে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন হোটেল মালিকরা। আর তার মধ্যেই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠল। আর তৎক্ষণাৎ সেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে কড়া পদক্ষেপ করল বন দফতর। আজ, শুক্রবার সকাল থেকে বুলডোজার ব্যবহার হল এখানে। তখন বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকা ঘিরে ছিল। বন দফতরের অফিসাররাও এই উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত থাকায় উত্তেজনা দেখা যায়।
মন্দারমণির রেশ এখনও কাটেনি। সেখানে বুলডোজার নীতির বিপক্ষে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যকে না জানিয়ে সেখানে বুলডোজার দিয়ে ভাঙার কাজ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পরে কলকাতা হাইকোর্টে হোটেল মালিকদের সংগঠন মামলা করেন। সেখানে এবার আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে পর্যটকদের ভিড় সারা বছর লেগেই থাকে। সেখানের জমিতে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে বলে অভিযোগ। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বুক চিরেই গিয়েছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। সুতরাং এখানে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রত্যেকটি থানাকে আইনের ধারা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে হবে, নগরপালকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
বন দফতরের অভিযোগ, দমনপুর ওভারব্রিজ থেকে নিমতি এলাকায় সমস্ত বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। ওই জমি সরকারের। সেখানে দোকান, গাড়ির শোরুম, সার্ভিস সেন্টার, ধাবা নির্মাণ সম্পূর্ণ বেআইনি। এই বেআইনি নির্মাণ এখানে হয়েছে। এমনকী ওই এলাকায় পাকা বাড়ি, ফ্যাক্টরিও গড়ে উঠেছে। কেমন করে এইসব বেআইনি নির্মাণ তৈরি হল? প্রশ্ন উঠেছে। তাই বন দফতরের জায়গায় বাড়ি, ঘর, ফ্যাক্টরি, দোকান যা তৈরি হয়েছিল সবটাই বেআইনি। সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ওই জমি বন দফতরের। তাই ওই জমি দখল করে যাঁরা নির্মাণ গড়ে তুলেছিলেন তাঁদের সরে যেতে নোটিশ দেওয়া হয়। তারপরও তা শোনেনি দখলদাররা। তাই ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয় বলে বন দফতরের দাবি।
এখন ওই দখলদাররা অশান্তি করতে শুরু করেছেন। ঝামেলা করতে থাকেন বন দফতরের অফিসারদের সঙ্গে বলে অভিযোগ। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় ওই সব নির্মাণ যাতে না ভাঙা হয়। কিন্তু কোনও বাধাই টেকেনি বুলডোজারের সামনে। ভেঙে ফেলা হয় একের পর এক নির্মাণ। বন দফতরের পক্ষ থেকে আজ সকালে ওখানে যাওয়া হয়। আর বুলডোজার নিয়ে ভাঙার কাজ শুরু করা হয়। পুলিশ দাঁড় করিয়ে রেখে ভাঙার কাজ হয়। এমনকী বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি ড: হরিকৃষ্ণণও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কাজ হারালেন বহু মানুষ।