দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালের কর্মী ও চিকিৎসকদের দেহে মিলল না করোনার সংক্রমণ। এক করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসার পর ওই হাসপাতালের ২ চিকিৎসক-সহ ২৭ জনকে কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছিল। তাদের সবার রিপোর্ট নেগেটিভ বলে জানা গিয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৭১ বছরের এক বৃদ্ধের। আসানসোলের জাহাঙ্গির মহল্লার ওই বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ পেশায় হাতুড়ে বলে জানা গিয়েছে। তিনি দিল্লির নিজামুদ্দিনের তবগিলি জামাত ফেরত কয়েকজনের চিকিৎসা করেছিলেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। এর পরই করোনায় আক্রান্ত হন তিনি।
এর পরই দুর্গাপুর জুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। হাসপাতাল বন্ধ করে হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয় মৃত করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা ২ জন চিকিৎসক-সহ হাসপাতালের ২৭ জনকে। রবিবার রাতে তাদের রিপোর্ট এলে দেখা যায় সবাই করোনা নেগেটিভ।
হাসপাতালের জেনারেল ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্তকে ভর্তি করায় ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিতে হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতাল। সেখানকার সুপার ও এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, বহু ক্ষেত্রে করোনার উপসর্গ ভর্তির পর দেখা যাচ্ছে। ফলে তাদের জেনারেল ওয়ার্ডেই পাঠানো হচ্ছে। পরে করোনা ধরা পড়লে ততক্ষণে সংক্রমণ যা ছড়ানোর ছড়িয়ে গিয়েছে।