দক্ষিণবঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা শুরু হয়েছে। ফলে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে প্রার্থী বাছাই নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনায় সরব হলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে।
বিষ্ণুপুরের বিধায়ক মুকুল রায় দিয়ে শুরু হয়েছে। এরপর বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বিজেপি ছেড়েছেন। এরপরই বিজেপি ছেড়েছেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়ও। সম্প্রতি কিছুটা হলেও বেসুরো গাইতে শুরু করে দিয়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীও। এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতৃত্বের অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দিলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক। তাঁর মতে, ‘যদি পুরনো বিজেপি কর্মীদের টিকিট দেওয়া হত, তাহলে দলের এই দিন দেখতে হত না। আসলে যাঁরা এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাচ্ছেন, তাঁরা কেউই আসলে বিজেপির লোক নয়। তাঁরা আসলে মনেপ্রাণে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে এমনভাবে বোঝানো হয়েছিল যে তাঁরা তা বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন। যাঁরা এখন দল পাল্টাচ্ছেন, তাঁরা সকলেই বিশ্বাসঘাতক। এরা মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়বেন।’
গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির তৃণমূলের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর প্রার্থী বাছাই নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনায় সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়কে। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনাও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবার এই একই সুর শোনা গেল দলেরই এক বিধায়কের গলাতেও।
তবে এ নিয়ে বিজেপি বিধায়ককে খোঁচা দিতে ছাড়েননি কোচবিহারের তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতীম রায়। কটাক্ষের সুরেই তিনি জানান, ‘উনি যদি এত সৎ হন, তাহলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ ঘোষণা করুন।’ উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি বিধায়কের এই কথা মতো, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা সব বিধায়কই কি বিশ্বাসঘাতক?